ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন

জর্জ ফ্লয়েড করোনায় আক্রান্ত ছিলেন

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে মৃতু্যর পর করা পরীক্ষায় দেখা গেছে। মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিনেসোটা রাজ্যের হেনিপিন কাউন্টির প্রকাশ করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ফ্লয়েডের সংক্রমণের বিষয়টি উঠে এসেছে। সংবাদসূত্র : সিএনএন, বিবিসি ময়নাতদন্তে ফ্লয়েডের নাক থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে তার করোনাভাইরাস 'পজিটিভি' এসেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। হেনিপিন কাউন্টির প্রধান মেডিকেল এক্সামিনার ডা. এন্ড্রু বেকার জানিয়েছেন, ফ্লয়েডের নমুনার পিসিআর পরীক্ষায় তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। বেকার বলেন, 'ময়নাতদন্তের যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে ফ্লয়েড করোনাভাইরাসের উপসর্গহীন বাহক ছিলেন বলেই মনে হয়েছে। তার মৃতু্যতে ভাইরাসের 'জ্ঞাত কোনো ভূমিকা' ছিল না।' ২৫ মে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করার সময় ৪৬ বছর বয়সি ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে রাস্তার সঙ্গে প্রায় ৯ মিনিট চেপে ধরে রাখেন মিনিয়াপোলিসের শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদ নয়দিন ধরে অব্যাহত আছে। ঘটনার পরদিনই জড়িত চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। এদের মধ্যে ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু তুলে দেওয়া ৪৪ বছর বয়সি ডেরেক শভিনও আছেন। শভিনকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। অপর তিন পুলিশ কর্মকর্তা, টমাস লেইন, জে. আলেকজান্ডার কুয়ং ও টু থাও-য়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়। কিন্তু প্রতিবাদকারীরা এতে সন্তুষ্ট হয়নি। চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনার দাবি তুলে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিল তারা। তদন্ত শেষে বুধবার ওই চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অপরাধের অভিযোগ এনেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা। শভিন ছাড়া বাকি তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিরস্ত্র ফ্লয়েডকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।