করোনা মহামারি

আক্রান্তে চীনকে ছাড়িয়ে গেল পাকিস্তান

মেক্সিকোতে একদিনে রেকর্ড ১০৯২ মৃতু্য

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। পাকিস্তানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮০১ জন। গত ডিসেম্বরে চীন থেকেই সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। সংবাদসূত্র :ডন, বিবিসি এদিকে, পাকিস্তানে করোনার প্রাদুর্ভাব অনেক পরে হলেও এরই মধ্যে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা চীনের চেয়েও বেশি। চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ২২ জন। অথচ পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ২৬৪ জন। তবে চীনের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা কম। পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১ হাজার ৭৭০ জন। অপরদিকে, চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও চলতি মাসের শুরু থেকেই লকডাউন তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষণা দিয়েছেন যে, চলতি সপ্তাতেই তার সরকার অভ্যন্তরীণ পর্যটন খুলে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে সব হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। পাকিস্তানে নতুন গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮২ জন। দেশটিতে এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩০ হাজার ১২৮ জন। বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৫৩ হাজার ৩৬৬ এবং ১১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেক্সিকোতে একদিনে রেকর্ড ১০৯২ মৃতু্য এদিকে, মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মেক্সিকোতে একদিনে রেকর্ড ১০৯২ জনের মৃতু্যর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার দেশটিতে রেকর্ড ৩ হাজার ৯১২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের হিসাবে এদিন মেক্সিকো প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাপিয়ে যায়। বুধবার প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটিতে যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার ৪৫ জনের মৃতু্য হয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। মেক্সিকোতে এর আগে কোভিড-১৯ এ একদিনে সর্বোচ্চ ৫০১ জনের মৃতু্যর খবর মিলেছিল। ভাইরাস শনাক্তে অনেক কম পরীক্ষা হওয়ার কারণে দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না বলে সমালোচকরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছিলেন। রাজধানী মেক্সিকো সিটি কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করার পর মৃতের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেল। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লাতিন আমেরিকাই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ওই অঞ্চলের মধ্যে ব্রাজিলে বুধবারও রেকর্ড মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। মেক্সিকোর সরকার প্রথম দিকে দেশটিতে ভাইরাসের সংক্রমণ মে মাসের শুরুতেই 'সর্বোচ্চ শিখরে' উঠবে বলে ধারণা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কার মধ্যেই দেশটি তাদের বৃহৎ অটো খাত ফের চালুও করে দেয়; এই খাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সাপস্নাই চেইনের কয়েক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা নির্ভর করছে। চলতি সপ্তাহ থেকে মেক্সিকোতে বিধিনিষেধ আরও শিথিল হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় দেশটিতে সহসাই সংক্রমণের হার হ্রাস পাবে না বলেই অনুমান করা হচ্ছে।