করোনার সুযোগ নিয়েছিল

করাচির স্টক এক্সচেঞ্জে জঙ্গি হামলা :নিহত ১০

বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার জঙ্গিরা দীর্ঘ সময় ধরে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনী
পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচিতে স্টক এক্সচেঞ্জে হামলা করা চার জঙ্গির সবাইকে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টায় তারা গ্রেনেড হামলা চালানোর পর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকে তারা। এই ঘটনায় চার জঙ্গিসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। সংবাদসূত্র : ডন, বিবিসি, রয়টার্স পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও চার নিরাপত্তারক্ষী জঙ্গি হামলায় মারা গেছেন। এছাড়া দুই সাধারণ নাগরিকও নিহত হয়েছেন। আরও তিনজন পুলিশ সদস্যসহ আরও বহু লোক আহত হয়েছেন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সকাল ১০টার কিছু আগে চার জঙ্গি তাদের গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে এবং প্রবেশপথে গ্রেনেড ছোড়ার পর এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। এরপর দ্রম্নত পুলিশ ও রেঞ্জার্স সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে এবং গুলির লড়াইয়ের পর চার জঙ্গির সবাইকে হত্যা করে। করাচি পুলিশের প্রধান গোলাম নবী মেমন বলেন, 'চার জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে, তারা ছাই রঙের করোলা গাড়িতে এসেছিল।' জঙ্গিদের কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের কাছে খাবারও ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর ধারণা, দীর্ঘ সময় ধরে হামলা চালানোর লক্ষ্য নিয়েই এসেছিল জঙ্গিরা। পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক আবিদ আলি হাবিব বলেন, গাড়ি পার্কিংয়ের দিক থেকে জঙ্গিরা ভবনের দিকে আসে এবং প্রত্যেককে গুলি করে। গোলাগুলি টের পাওয়ার পর পেছনের দরজা দিয়ে ভবনের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সিন্ধু রেঞ্জার্স বলেছে, হামলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ও রেঞ্জার্সের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়, আর চার হামলাকারীর সবাইকে হত্যা করে। ঘটনার পর দীর্ঘ সময় ধরে ওই এলাকায় একটি 'ক্লিয়ারেন্স অপারেশন' চলছে বলে জানিয়েছে তারা। পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের (পিএসএক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফররুখ খান হামলার ঘটনাটিকে 'গুরুতর ও দুর্ভাগ্যজনক' বলে বর্ণনা করেছেন। করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় লোকজন কম ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ্‌ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে হামলাটিকে 'জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ওপর হামলার অনুরূপ' বলে মন্তব্য করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী পক্ষগুলো ভাইরাস পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। হামলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রম্নত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশ ও রেঞ্জার্সের প্রশংসা করেছেন তিনি। পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সিন্ধুর গভর্নর ইমরান ইসমাইলও হামলার নিন্দা জানিয়ে 'যেকোনো মূল্যে সিন্ধুকে রক্ষা করবেন' বলে প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করেছেন। স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনটির অবস্থান করাচির উচ্চ নিরাপত্তা অঞ্চলে অবস্থিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকেরও প্রধান কার্যালয় রয়েছে সেখানে। এদিকে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।