সরাসরি নাকচ দিলিস্নর

করাচি হামলার নেপথ্যে ভারত অভিযোগ ইমরানের

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
পাকিস্তানের করাচিতে স্টক এক্সচেঞ্জের একটি বিল্ডিংয়ে হামলার ঘটনার সঙ্গে ভারত জড়িত বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছে ভারত। সংবাদসূত্র : ডন, বিবিসি গত সোমবার পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে হামলা চালায় 'বালুচ লিবারেশন আর্মি'র সদস্যরা। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হন। মৃতদের মধ্যে দুজন সাধারণ নাগরিক ও কমপক্ষে চারজন বালুচ বিদ্রোহী রয়েছে বলে জানা যায়। হামলার ঘটনার কিছুক্ষণ পরে বিষয়টির দায় স্বীকার করে 'বালুচ লিবারেশন আর্মি'। তবে মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, 'আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, করাচি হামলার নেপথ্যে রয়েছে ভারত। বিগত দুইমাস ধরেই এমন হামলার আশঙ্কা করছিলেন আমাদের গোয়েন্দারা। এই বিষয়ে আমার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও জানেন।' তবে দিলিস্ন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে স্টক এক্সচেঞ্জ হামলায় ভারতের কোনো হাত নেই। গত মাসেই বালুচ বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন নয়জন পাক সেনাসদস্য। শুধু তাই নয়, বালুচিস্তানে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে স্বাধীনতার দাবি। রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। আন্দোলন দমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। পালস্না দিয়ে বাড়ছে পাকিস্তানি ফৌজের অমানুষিক অত্যাচার। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাক ফৌজের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেছেন হাজার হাজার মানুষ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে স্বাক্ষর হওয়া একটি চুক্তির ভিত্তিতে চীন-পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে। চীনের প্রস্তাবিত 'ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড' নীতির ওপর ভিত্তি করে তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে। পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চীনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট দুই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে। তবে এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালুচিস্তানসহ গিলগিট, বালতিস্তান ও পিওকের জনগণ। তাদের অভিযোগ, পেশিশক্তির মাধ্যমে জোরপূর্বক তাদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান।