সীমান্ত সমাধান অধরাই

ভেস্তে গেল ভারত-চীনের তৃতীয় দফার বৈঠকও

মোদি জামানায় ভারতে বেড়েছে চীনা পণ্যের আমদানি :রাহুল

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর তৃতীয়বারের মতো ভারত-চীনের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকও ভেস্তে গেছে। সংঘর্ষের পর দুই পক্ষের একের পর এক আলোচনা বেশ নজরকাড়া হলেও তা বিশেষ ফলপ্রসূ হয়নি। বরং চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবারের ওই বৈঠক ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলার পর রাত ১১টার পরে শেষ হয়েছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ চীন ক্রমেই নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে ভেতরের দিকে ঘাঁটি তৈরি করতে শুরু করেছে। একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, এরই মধ্যে 'ফিংগার ৪'-এর ভেতরে স্থায়ীভাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে চীন। ভারতকে চাপে রাখতে আরও এক ধাপ এগিয়েছে বেইজিং। প্যাংগং লেক এবং গালওয়ান উপত্যকা সমস্যা সমাধানে ভারত বা চীন কেউই সেনা সরাতে রাজি হয়নি। ভারত বলছে, প্যাংগং লেকে তিন কিলোমিটার পিছু হটা কিছুতেই সম্ভব নয় কারণ তাহলে ফিংগার-৪ থেকে সরে আসতে হবে। 'ফিংগার-৪' সবসময় ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ভারত ফিংগার ৮-এ লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল দাবি করে। ভারতের ওপর নজরদারি বাড়াতে বর্তমানে সেখানে ঘাঁটি তৈরি করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। সেখানেই বাঙ্কার এবং নজরদারি ব্যবস্থা করে পোস্ট তৈরি করেছে চীন। ফিংগার-৪ থেকে ফিংগার ৮ এর মাঝে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে মূলত এই কাজ টানা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। একইভাবে গালওয়ান পেট্রল পয়েন্ট ১৪-তে দুই থেকে তিন কিলোমিটার পিছু হটতে রাজি নয় চীন। প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডেপসাং এবং ডেমচকেও একইরকমভাবে অবস্থান চীনের। মঙ্গলবারের একটি বৈঠকে সব বিতর্কিত অঞ্চলগুলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। চীন আলোচনা শেষে জানিয়েছে, গত ২২ জুন গালওয়ানের 'ক্লেমড লাইন' থেকে ৮শ মিটার দূরে ছিল তারা। গালওয়ান উপত্যকার পিপি ১৪-তে চীনা সেনারা প্রায় ১০০-১৫০ মিটার সরে গেছে। লাইন অফ কন্ট্রোলে পিপি-১৪ থেকে শেষ পর্যন্ত সবগুলো পেট্রোল পয়েন্ট নিজেদের বলে দাবি জানিয়েছে ভারত। মোদি জামানায় ভারতে বেড়েছে চীনা পণ্যের আমদানি : রাহুল কাশ্মিরের লাদাখে চীনা বাহিনীর হাতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের পর থেকেই ভারতে বাড়ছে চীনবিদ্বেষ। এদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতে বেড়েছে চীনা পণ্যের আমদানি। একেবারে পরিসংখ্যান ঘেঁটে গ্রাফ করে তিনি দেখিয়েছেন, মোদি জামানায় ভারতে চাইনিজ সামগ্রীর আমদানি কী পরিমাণে বেড়েছে। মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে মনমোহন ও মোদি জমানায় আমদানিকৃত পণ্যের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরেন রাহুল। তিনি লিখেছেন, 'তথ্য মিথ্যা বলবে না। বিজেপি মুখে বলে, 'মেক ইন ইন্ডিয়া'; আর কাজকর্মে তারা 'বাই ফর্ম চায়না'। এ কথা লেখার পাশাপাশি কংগ্রেসদলীয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি পাশাপাশি রেখে দুই আমলে চীন থেকে আমদানির তুলনামূলক পার্থক্য হাজির করেছেন তিনি। গ্রাফে রাহুল দেখিয়েছেন, ২০০৮-২০১৪ সালের মধ্যে চীন থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ১৪ শতাংশের কম। কিন্তু মোদি জামানায় এটি বেড়ে ১৮ শতাংশে পৌঁছেছে।