আরও চাপে ভারত

চীনের সঙ্গে পাকিস্তানও সেনা নামাল লাদাখ সীমান্তে

বিশ্লেকদের আশঙ্কা, ভারতকে ঘিরে ধরছে প্রতিবেশীরা জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলেও সেনা বাড়িয়েছে পাকিস্তান

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
লাদাখে পাক ও চীনা সেনা -ফাইল ছবি
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে ভারতের। তারই মধ্যে উত্তর লাদাখ সীমান্তে প্রায় ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। বিশ্লেকদের আশঙ্কা, তবে কি ভারতকে ঘিরে ধরছে প্রতিবেশীরা? গত কয়েক দিনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোয়েন্দাদের একাধিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গটিই বারবার উত্থাপিত হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দারা সেনাবাহিনীকে জানিয়েছে, উত্তর লাদাখের গিলগিট বালটিস্তান অঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। সংবাদসূত্র :ডয়চে ভেলে, এনডিটিভি, পিটিআই উত্তরে ভারতকে পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘিরে রেখেছে চীন, পাকিস্তান এবং নেপাল-ভুটান। পুরোটাই দুর্গম হিমালয়ের অংশ। এর মধ্যে লাদাখের এক প্রান্তে চীন, অন্য প্রান্তে পাকিস্তান। এই মুহূর্তে চীনের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা চলছে লাদাখের পূর্ব প্রান্তে। গত ১৫ জুন রাতে দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ এবং ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরপর বেশ কয়েকটি কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। ভারত-চীন সীমান্ত চুসুলে বুধবারও একটি বৈঠক হয় দুই দেশের সেনার। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান মেলেনি। এদিকে, লাদাখে চীন সীমান্তে ক্রমাগত সেনা সমাগম বাড়াচ্ছে ভারতও। সরকারিভাবে প্রায় ১০ হাজার সেনা সেখানে মজুত করা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে ট্যাংক এবং অন্যান্য যুদ্ধের সরঞ্জাম। লাদাখের লেহ্‌ বিমানঘাঁটিতে তৈরি রয়েছে বিমানবাহিনী। ৬০ দিনের জন্য সেখানে 'রেড অ্যালার্ট' জারি করা হয়েছে। চীনও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) অন্যদিকে সেনা সাজিয়েছে। সেখানেও প্রায় সমপরিমাণ সেনা মজুত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে তিনটি এয়ারস্ট্রিপে চীন তাদের বিমানবাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে নেপাল এবং পাকিস্তান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক এখন ভালো। বাণিজ্যিক দিক থেকেও দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে আপত্তি তুলেছিল। একমাত্র চীন পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল। ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে পাকিস্তান-চীন সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া নেপালের মতো ছোট দেশও ভারতের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। সেখানে কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে ভাঙন এখন স্পষ্ট। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচন্দের সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দলে এখনো প্রচন্দের শক্তি বেশি। কিন্তু ওলি তারপরও এত শক্তি পাচ্ছেন কোথা থেকে, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছে। অনেকেরই বক্তব্য, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি গোপনে সাহায্য করছে ওলিকে। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, উত্তর লাদাখে গিলগিট বালটিস্তানে সেনা মজুত করার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলেও সীমান্তের কাছে সেনা বাড়িয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে কাশ্মীরের ভেতরে কট্টরপন্থিদের সঙ্গেও পাকিস্তান চীনের কথা বলিয়ে দিয়েছে বলে কোনো কোনো মহল দাবি করছে।