উত্তর কোরিয়ার বিবৃতি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপের আর কোনো প্রয়োজন নেই

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কিম জং-উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প -ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপের আর কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না উত্তর কোরিয়া। মার্কিন কূটনীতিক দলের দক্ষিণ কোরিয়া সফর সামনে রেখে উত্তর কোরিয়ার এক ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক শনিবার বলেছেন, দুই দেশের আলোচনা ওয়াশিংটনের জন্য 'একটি রাজনৈতিক হাতিয়ারের' চেয়ে বেশি কিছু নয়।' সংবাদসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই জানান, ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ফলপ্রসূ হবে না এবং উত্তর কোরিয়ার নীতিও বদলাবে না। চো'র বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা 'কেসিএনএ' বলেছে, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুখোমুখি বসার কোনো দরকার আমরা দেখছি না। ডিপিআরকে-ইউএসের মধ্যে সংলাপ আসলে রাজনৈতিক সংকটকে গ্রাস করার হাতিয়ার ছাড়া আর কিছু নয়।' উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অসমাপ্ত আলোচনা সারতে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট স্টিফেন বাইগান। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বুধবার বলেছিলেন, নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ান শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের আবারও দেখা করা উচিত। তাতে করে দুইজনের মধ্যে অসম্পূর্ণ থাকা আলোচনার শেষ হবে। ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে বলেছিলেন, নির্বাচনের আগে 'অক্টোবর সারপ্রাইজ' হিসেবে আরেকবার উনের সঙ্গে দেখা করা উচিত মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধানের। ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে প্রথম সাক্ষাৎ হয় ট্রাম্প ও উনের। পরের বছর ভিয়েতনামে আবার দেখা হয় তাদের। সেখানে উত্তর কোরিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্ত হিসেবে দেশটি থেকে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মূল করতে বলেছিলেন ট্রাম্প। যদিও তা ব্যর্থ হয়। ওই বছরের জুনে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আবারও আলাপের ব্যাপারে সম্মতি জানান তারা। কিন্তু অক্টোবরে সুইডেনে তাদের পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎ ভেস্তে যায়। স্ত্রীকে অপমান করায় লিয়াজোঁ অফিস ধ্বংস কিমের! এদিকে, বরাবরই একে অপরের বিরুদ্ধে পালস্না দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোয় লিপ্ত দুই কোরিয়া। সীমান্তে কড়া বিধিনিষেধ থাকায় এই কাজে তারা বেছে নিয়েছে বেলুন পদ্ধতি। অর্থাৎ, বেলুনে প্রোপাগান্ডাযুক্ত লেখা বা ছবি জুড়ে দিয়ে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় সীমান্তের ওপারে। এই কাজ করতে গিয়েই নাকি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। যার কারণে দুই দেশের লিয়াজোঁ অফিস গুঁড়িয়ে দিয়েছেন কিম জং-উন। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ফার্স্ট লেডির নোংরা কিছু ছবি বানিয়ে তা পাঠানো হয়েছিল বেলুনে করে। তা দেখেই ক্ষেপে যান কিম। ফলাফল, দুই দেশের লিয়াজোঁ অফিস বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। হুমকি দিয়েছিলেন সামরিক হামলারও। এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মাতসেগোরা জানান, গত ৩১ মে বেলুনে লিফলেটের সঙ্গে কিছু ছবিও আসে। সেগুলো ছিল কিমের স্ত্রী রি সুল জুর। এডিট করে বানানো নোংরা ছবি দেখেই ক্ষিপ্ত হন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা। এর জেরেই গত ১৬ জুন লিয়াজোঁ অফিস উড়িয়ে দেন তিনি। সপ্তাহ দুয়েক আগে সীমান্তবর্তী অসামরিক অঞ্চল কায়েসংয়ে অবস্থিত দুই কোরিয়ার মধ্যে লিয়াজোঁ অফিসটি বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে দেশ দুটির মধ্যে।