হংকংয়ে নতুন আইনে প্রথম একজন অভিযুক্ত

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হংকংয়ে বিক্ষোভ -ফাইল ছবি
হংকংয়ে সদ্য চালু হওয়া চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করার পর এই প্রথম একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত বুধবার অঞ্চলটিতে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাস্তায় নতুন আইনবিরোধী বিক্ষোভের সময় 'হংকং মুক্ত করো' স্স্নোগান লেখা প্রতীক বহনের জন্য টং ইং-কিট নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ উসক দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সংবাদসূত্র :বিবিসি অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভের সময় টং পুলিশের মধ্য দিয়েই মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা মোটরসাইকেলের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান। এরপর পড়ে যান টং নিজেও। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার পর টংকে হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়। হংকং সরকার বলেছে, তিনি 'হংকং মুক্ত করো,' 'আমাদের সময়ের বিপস্নব' স্স্নোগান লেখা যে প্রতীক বহন করছিলেন; নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় তা বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং বিদ্রোহের সামিল। হংকংজুড়ে বিক্ষোভকারীরা পস্ন্যাকার্ডে, টি-শার্টে এসব স্স্নোগান লিখছে, দেওয়ালে দেওয়ালেও তা সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চীনের পার্লামেন্ট গত মঙ্গলবার বিতর্কিত নতুন হংকং নিরাপত্তা আইন পাস করেছে। এ আইনের আওতায় হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে। ১ জুলাই থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ এর আওতায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। চীনের ভাষ্য, অস্থিরতা প্রশমন এবং ব্যাপক গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা সামাল দিতেই এ আইন প্রয়োজন। হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্যও আইনটি হুমকি নয় বলে দাবি চীনের। কিন্তু আইনটিকে হংকংয়ের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীনতার জন্য হুমকি এবং বৃহত্তর গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করে আসছেন সমালোচকরা। চীনের এ আইন পাসের নিন্দা-সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ন্যাটোও। শুধু তাই নয়, চীনের পার্লামেন্টে বিতর্কিত 'হংকং নিরাপত্তা আইন' পাসের পর অঞ্চলটির ৩০ লাখ বাসিন্দাকে নাগরিকত্বের প্রস্তাব দিয়েছে তাদের একসময়কার শাসক দেশ যুক্তরাজ্য।