মৃতু্য কমাতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি

তিন ওষুধ ব্যবহারে আবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 'না'

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত লোপিনাভির/রিটোনাভির পরীক্ষামূলক ব্যবহারে আবার মানা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে একবার 'না', পরে 'হ্যাঁ' বলার পর তৃতীয় দফায় সিদ্ধান্ত বদলে আবার 'না' বললো জাতিসংঘের এই সংস্থাটি। সংবাদসূত্র : বিবিসি করোনাভাইরাস চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনসহ ওষুধ তিনটির কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে গঠিত আন্তর্জাতিক স্টিয়ারিং কমিটির পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্র্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং লোপিনাভির/রিটোনাভিরের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়েছিল। কিন্তু এসব ওষুধ মৃতু্য কমাতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই এই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা বন্ধ করা হলো। বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দেয়া কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বের চিকিৎসকরা নানা ধরনের ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হতে থাকে রোগীদের ওপর। কিন্তু গত ২৫ মে ডবিস্নউএইচও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেটটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলে। এই ওষুধ সেবনে অনেকের হৃদস্পন্দনে গুরুতর অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ-ও সতর্কবার্তা দিয়েছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই এই ওষুধটিকে 'গেমচেঞ্জার' আখ্যা দিয়ে আসছেন। গত ১৮ মে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি নিয়মিত এই ওষুধ গ্রহণ করছেন। তার সংস্পর্শে আসা দুই ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সতর্কতা হিসেবে এগুলো গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপর আবার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ৪ জুন আগের সিদ্ধান্ত পাল্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসাস বলেন, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক ব্যবহারে বাধা নেই।