সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ট্রাম্পের সঙ্গে কেনি ওয়েস্ট
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার ঘোষণার্ যাপশিল্পীর যাযাদি ডেস্ক আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জনপ্রিয় র?্যাপশিল্পী কেনি ওয়েস্ট। গত শনিবার এক টুইটে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক হিসেবে নিজেকে জাহির করা ওয়েস্ট হঠাৎই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। টুইটারের এক পোস্টে কেনি ওয়েস্ট লিখেছেন, 'আমাদের এখন অবশ্যই ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে হবে, আমাদের লক্ষ্য ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এবং ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে।' এরপরই তিনি ঘোষণা দেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছি আমি।' এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার একটি ইমোজি ও '২০২০ভিশন' হ্যাশট্যাগ পোস্টকরেন এর্ যাপার। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণার পর থেকেই কেনি ওয়েস্টকে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইলেক্ট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'টেসলা'র প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। এক টুইটে কেনি ওয়েস্টের উদ্দেশে এ ধনকুবের লিখেছেন, 'তোমার প্রতি আমারপূর্ণ সমর্থন রয়েছে।' তবে, কেনি ওয়েস্ট সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন কি-না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। আর চার মাস পরেই অনুষ্ঠিত হবে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এখনো অনেক অঙ্গরাজ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোষণার সুযোগ রয়েছে। তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কেনি ওয়েস্টের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে। কারণ, তিনি বরাবরই ট্রাম্পের সমর্থক বলে পরিচিত। সম্প্রতি স্ত্রী কিম কার্দেশিয়ানকে নিয়ে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎও করে এসেছেন তিনি। ফলে এটি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার কোনো কৌশল কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। সংবাদসূত্র :আল-জাজিরা হংকং গ্রন্থাগার থেকে উধাও গণতন্ত্রপন্থিদের বই যাযাদি ডেস্ক প্রখ্যাত গণতন্ত্রপন্থিদের লেখা বইগুলো হংকংয়ের গ্রন্থাগার থেকে উধাও হয়ে যেতে শুরু করেছে। এশিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নগরীটিতে চীন 'নিপীড়নমূলক নিরাপত্তা আইন' প্রয়োগের এক দিন পর থেকে এই উধাও হয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। যেসব লেখকের বই এখন একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের মধ্যে রয়েছেন নগরীর জনপ্রিয় তরুণ অধিকারকর্মী জোশুয়া ওং এবং গণতন্ত্রপন্থি হিসেবে পরিচিত আইনজীবী তানিয়া চ্যান। গত মঙ্গলবার স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অনুমোদন দেয় চীনের পার্লামেন্ট। আইনটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। তবে গণতন্ত্রপন্থিদের অভিযোগ, এই আইনের মাধ্যমে হংকংয়ের বাসিন্দাদের বাকস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেবে চীন। বই উধাও প্রসঙ্গে জোশুয়া ওং জানান, তার বিশ্বাস নিরাপত্তা আইনের কারণে বইগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'শ্বেতসন্ত্রাস ছড়ানো অব্যাহত আছে। মৌলিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তা আইন বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার একটি অস্ত্র।' গণগ্রন্থাগার পরিচালনাকারী নগরীর বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সেবা বিভাগ জানিয়েছে, বইগুলো জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করছে কিনা, তা জানতে এগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সংবাদসূত্র : এএফপি অনলাইন ভারতের বিহার বজ্রপাতে একদিনে ২৩ জনের মৃতু্য যাযাদি ডেস্ক পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন ভারতের বিহার রাজ্যে শনিবার একদিনেই বজ্রপাতে আরও কমপক্ষে ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শনিবার বিহারের পাঁচ জেলায় এই মৃতু্যর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি ৯ জন মারা গেছে ভোজপুর জেলায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভাগ জানিয়েছে, বজ্রপাতে বাকি মৃতু্যর ঘটনা ঘটেছে সরান, কৈমুর, পাটনা এবং বক্সার জেলায়। গত শুক্রবার বিহারে বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় আটজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জুনের শেষে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রপাতে ১১০ জন প্রাণ হারান। রাজ্য সরকার থেকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে চার লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ার সময় জনগণকে সজাগ থাকার এবং যতদূর সম্ভব বাড়ির অভ্যন্তরে থাকার অনুরোধ করেছেন তিনি। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে এবং বিহারে ওপরের সাধারণ তাপমাত্রার সংমিশ্রণ এবং বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্র দক্ষিণা বাতাসের কারণে বায়ুমন্ডলে 'অস্থিতিশীলতা' বাড়ার ফলে বড় আকারের বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। গত ১৫ দিনে এই দুই রাজ্যের দেড় শতাধিক লোক বজ্রপাতে প্রাণ হারান। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি