সংবিধান সংশোধনে পুতিনের সাফাই

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন
সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিণতি রোধ করতেই রাশিয়ার সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন। তার দাবি, সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের সংবিধান ছিল 'ধীরগতির মাইন' যা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল; কাজেই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুঃখজনক পরিণতি রোধ করতেই সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। তিনি রাশিয়ার সরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের প্রতি ইঙ্গিত করে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যে সংবিধান বিশেষ একটি শ্রেণিকে তাদের নিজেদের ও কমিউনিস্টদের ভাগ্যকে গোটা জাতির ভাগ্যের সঙ্গে জুড়ে দেয়ার অনুমতি দেয়, তা বিলম্বিত মাইন ছাড়া আর কিছু নয়। কাজেই এই মাইনের বিস্ফোরণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত গণভোটে সংবিধান সংশোধনের পক্ষে শতকরা ৭৭ ভাগ ভোট পড়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, পার্লামেন্টে পাস হওয়া সত্ত্বেও দেশে নিজের সমর্থন অটুট প্রমাণ করতেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও গণভোট আয়োজন করেন পুতিন। এর আগে ১৯৯৩ সালে সংবিধান সংশোধন করার জন্য ভোট করা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট পুতিন সম্প্রতি রাশিয়ার সংবিধানে এমনভাবে পরিবর্তন এনেছেন, যাতে আপাতত ২০৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেন। গত সপ্তাহে সংবিধানের এ পরিবর্তনের ওপর অনুষ্ঠিত গণভোটে জয়ী হন পুতিন। রাশিয়ায় যে সাংবিধানিক পরিবর্তন করা হয়েছে তাতে প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। সমালোচকরা বলছেন, পুতিন এই সংশোধনীর মাধ্যমে মূলত আজীবন ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছেন। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বিষয়টিকে মোটেও তার ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে দেখতে নারাজ। তিনি সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ১৯৭৭ সালের সংবিধানে সরকারের সকল কাজ কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল এবং এই পার্টির হাত থেকে অন্য কারও কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।