গালওয়ান থেকে সেনা সরানো শুরু চীনের

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে চীন। আপাতত কয়েকটি পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে উভয় দেশই সেনাদের পিছু হটিয়ে নিচ্ছে। তবে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হৃদের উত্তরে ও দেপসাংয়ে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। সংবাদসূত্র :ইনডিয়ান এক্সপ্রেস ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ থেকে দুই দেশের সেনাই কিছুটা পিছিয়েছে। একই প্রক্রিয়া 'হট স্প্রিং এরিয়াতেও পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৫ ও ১৭-এ-তে হতে পারে। ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, 'রোববার রাত থেকেই গালওয়ানে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রতিরক্ষার জন্য যে স্থাপনা তৈরি করেছিল চীনা সেনাবাহিনী, তা সরানো হয়েছে। আপাতত পুরো এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে। চীনা সেনাদের সরিয়ে নিতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ওই এলাকায় নেওয়া হয়েছে। এরপরই উভয়পক্ষের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে।' সূত্র আরও জানায়, পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো চলমান এবং উভয় পক্ষের কতজন সেনা সরানো হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ভারত-চীন সেনাপর্যায়ের বৈঠকে পিপি-১৪ থেকে সেনা সরানোয় সম্মতি জানায় দুই দেশ। তবে এই সেনা প্রত্যাহার কতটা দীর্ঘমেয়াদি, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-তে জোর করে চীনা সেনাবাহিনী ভারতীয় ভূখন্ডে প্রবেশ করে বলে অভিযোগ ভারতের। তারা বেশ কিছু স্থাপনাও গড়ে তোলে, যা ভারতীয় সেনারা ভাঙতে গেলে উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ১৫ জুন গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-এর কাছেই চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। তারপর থেকেই পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-তে ঘাঁটি করে চীনা বাহিনী। নিরাপত্তাবিষয়ক ভারতীয় এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, 'সেনা সরানোর কাজ বাস্তবে কতটা হলো, তা খতিয়ে দেখতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি দল নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু পয়েন্টে যাবে। তবে গালওয়ানে চীনা সেনাদের প্রত্যাহার ও স্থাপনা ধ্বংসের কয়েকটি প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত তিন দিন ধরেই সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি নজরে পড়েছে। বিরূপ প্রকৃতির কারণে গালওয়ান নদীর পানি বাড়ছে। এজন্যও প্রক্রিয়াটি কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে।' উলেস্নখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর গত সপ্তাহে ভারত ও চীনা সেনা কমান্ডাররা তৃতীয় দফা বৈঠকে বসেন। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা প্রশমনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ে এই বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই গালওয়ান থেকে সেনা প্রত্যাহারে দুই দেশই সম্মত হয়।