করোনার প্রকোপ

বিপর্যস্ত ভারতে মৃতু্য ২০ হাজার ছাড়াল

করোনার ওষুধ বিক্রি হচ্ছে দিলিস্নর কালোবাজারে!

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতে মৃতদের সৎকার -ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সাত লাখ শনাক্ত রোগী নিয়ে দেশটি এখন সংক্রমণের দিকে দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। লকডাউন বিধিনিষেধ শিথিল করার পর ভারতে এখন সংক্রমণ ও মৃতু্যর হার গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, ইনডিয়া টুডে, বিবিসি ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত একদিনে আরও ২০ হাজার ১৬০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষের দেশটিতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে সাত লাখ ১৯ হাজার ৬৬৫ জন। এই সময়ে আরও ৪৬৭ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতু্য হলো ২০ হাজার ১৬০ জনের। এর আগের দিনই ভারত শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় রাশিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে। ভারতের চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে কেবল ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে ব্রাজিলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ২৩ হাজারের বেশি। আর ২৯ লাখ ৩৫ হাজার শনাক্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আছে শীর্ষে। মৃতের সংখ্যা দ্রম্নত বাড়তে থাকলেও ভারতে প্রতি ১০ হাজারে মৃতু্যর হারের বিবেচনায় এখনো তা বেশ কম। ভারতে প্রতি ১০ হাজারে মৃতু্য হার এখন শূন্য দশমিক ১৫, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এই হার তিন দশমিক ৯৭, যুক্তরাজ্যে ছয় দশমিক ৬৫। গত ৩০ জানুয়ারি কেরালায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১১০ দিন। মার্চের শেষে ভারতজুড়ে দেওয়া কঠোর লকডাউনের কারণে দেশটিতে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত জনসংখ্যা অনুপাতে রোগী ছিল কমই। কিন্তু লকডাউন শিথিলের পর থেকে পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে যায়। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক থেকে দুই লাখে পৌঁছায় মাত্র ১৫ দিনে। এরপর দুই থেকে তিন লাখে ১০ দিনে, তিন থেকে চার লাখে ৮ দিনে, চার থেকে পাঁচ লাখে ছয় দিন, পাঁচ থেকে ছয় লাখে পৌঁছাতে পাঁচ দিন সময় লাগে। শেষ এক লাখ যোগ হতেও মাত্র পাঁচ দিনই সময় লেগেছে। করোনার ওষুধ বিক্রি হচ্ছে দিলিস্নর কালোবাজারে! এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় জীবনরক্ষাকারী হিসেবে ব্যবহৃত দুটি ওষুধ ভারতের রাজধানী দিলিস্নর কালোবাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে। রেমডেসিভির এবং টোসিলিজুমাব নামের এ দুটি ওষুধের সরবরাহ কমে যাওয়ায় ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। দেশটির একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কালোবাজারে অত্যধিক দামে ওষুধ দুটি বিক্রি করছে। দেশটিতে সরকারিভাবে রেমডেসিভির ওষুধের প্রত্যেক ফাইলের দাম পাঁচ হাজার ৪০০ রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক ফাইল রেমডেসিভিরের জন্য ৩৮ হাজার রুপি চাওয়া হচ্ছে। ভারতে করোনার চিকিৎসায় এই ওষুধটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসকরা জরুরি মুহূর্তে এই ওষুধটি করোনা রোগীদের প্রয়োগ করতে পারবেন বলে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে।