বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
দখলে মরিয়া বিজেপি

রাজস্থান হাতছাড়া হতে পারে কংগ্রেসের

একসময়ের বন্ধু শচিনকে দল থেকে সরাল কংগ্রেস প্রবল চাপে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট
যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০
শচিন পাইলট

ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। অঞ্চলটিতে যেকোনো সময় পাশার দান উল্টে যেতে পারে। ধুঁকতে থাকা কংগ্রেসের দখলে থাকা গুটিকয়েক রাজ্যের একটি রাজস্থান বগলদাবা করে ফেলতে পারে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। ফলে প্রবল চাপে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ, ডয়চে ভেলে এই মুহূর্তে রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কার, বিরোধী শক্তির পেশী আস্ফালন সবই আছে। সেই সঙ্গে আছে ঘন ঘন পট পরিবর্তন। একদিকে মোদি-শাহের বিজেপি এবং তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন গত দুই বছর ধরে উপ-মুখ্যমন্ত্রী থাকা শচিন পাইলট। তার দাবি, কংগ্রেসের ১৬ জন বিধায়ক আছেন তার সঙ্গে। শচিন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকতে তিনি নারাজ। উল্টোদিকে আছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তার সঙ্গে সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ পুরো কংগ্রেস। শচিন পাইলট ছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রিয়াঙ্কা সোমবার বন্ধুকে কংগ্রেসে ধরে রাখতে চেষ্টার ত্রম্নটি করেননি। অন্তত চারবার ফোনে কথা বলেছিলেন। একটাই অনুরোধ ছিল, কংগ্রেসে থেকে যাচ্ছেন বলে বিবৃতি দিন। বাকিটা সামলে নেবেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু এ তো আর রূপকথার সেই বন্ধুত্ব নয়, যা তারা জীবনে ভাঙবেন না বলে শপথ নিয়েছেন। এটা হলো রাজনৈতিক বন্ধুত্ব। সেখানে বন্ধুত্ব টিকে থাকে দেয়া-নেয়ার ওপর। মুখ্যমন্ত্রী করতে না পারলে আর বন্ধুত্ব কীসের? এমনকি চিদাম্বরমের মতো প্রবীণ নেতাকেও শচিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী করুন, থাকব।' না হলে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়বেন শচিন। তাকে আরেকবার সুযোগ দিতে মঙ্গলবার আবার পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। শচিন ও তার সঙ্গে থাকা আরও ১৫ বিধায়ক তাতে যোগ দেননি। তারপরই শচিনকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। আশা না দেখে কংগ্রেসই প্রথম আঘাত হেনেছে। রাজস্থানে ২০০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপি জোটের সঙ্গে আছেন ৭৬ জন বিধায়ক। তার সঙ্গে শচিনের ১৬ জন যোগ হলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৯২ জন। তাদের কাছে এখনো গরিষ্ঠতা নেই। আরও ৯ জন বিধায়ক দরকার। দুই জনকে তারা পেয়ে গেছে। 'ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি'র দুই বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপির দিকে ঢলে পড়েছেন। বাকি এখন সাত জন। কোথা থেকে আসতে পারে এতজন বিধায়ক? অশোক গেহলটকে সমর্থন করছেন ১০ জন স্বতন্ত্র বিধায়ক। তার মধ্যে সাতজন বিজেপির দিকে চলে গেলেই তার খেলা শেষ। রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, এইসব সময় কোটি কোটি টাকার খেলা চলে। ফলে স্বতন্ত্ররা উল্টোদিকে চলে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু খেলাটা এখানেই শেষ নয়। শচিনসহ কংগ্রেসের যে ১৬ জন বিধায়ক দলের হুইপ না মেনে বিদ্রোহ করেছেন, তারা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে দলবদল আইন অনুসারে বিধায়ক পদ যাবে। তখন কী হবে? তাদের আবার উপ-নির্বাচনে জিতে আসতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে