বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
বিধিনিষেধ শিথিল

পর্যটকদের জন্য খুলল কাশ্মীরের দরজা

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০
লকডাউনে পর্যটকশূন্য কাশ্মীর

ভারতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেওয়া বিধিনিষেধ শিথিলের নতুন পর্যায়ে পর্যটকদের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার থেকে কেবল বিমানে যাওয়া পর্যটকদেরই কেন্দ্রশাসিত এ অঞ্চলটিতে ঢুকতে দেওয়া হবে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, এনডিটিভি বিধিনিষেধ শিথিলের এ পর্বেও রেল কিংবা সড়কপথে কাশ্মীরে ঢোকার পথ বন্ধ থাকছে বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে গণমাধ্যম। কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানে জম্মু ও কাশ্মীরে নামা পর্যটকদের তাৎক্ষণিকভাবে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে; দেখাতে হবে গাড়ি ও হোটেল বুকিংয়ের কাগজ এবং ফেরার টিকিট। শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফল জানানোর আগ পর্যন্ত থাকতে হবে হোটেলে। ফল 'নেগেটিভ' এলেই মিলবে ঘোরাঘুরির অনুমতি। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বেই পর্যটন শিল্প ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে; কাশ্মীরের ক্ষেত্রে অবশ্য এ ক্ষতির সূত্রপাত হয়েছিল মহামারিরও আগে। গত বছরের আগস্টে ভারতের সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে একে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সময় থেকেই উপত্যকার পর্যটন খাত ঝিমিয়ে পড়ে। রাজনৈতিক অস্থিরতার ভয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সে সময়ই ওই অঞ্চলে নতুন করে লাখো সেনা মোতায়েন করে, পুরো এলাকাকে দেশের অন্যান্য অঞ্চল ও বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়; ইন্টারনেট ও ফোন সংযোগ বন্ধের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাদের গৃহবন্দি করা হয়। পরে ফোন ও ইন্টারনেট চালুর অনুমতি দেওয়া হলেও দুর্বল সংযোগ ও ভারতের অন্য অঞ্চলের তুলনায় ইন্টারনেটের গতি অনেক ধীর হওয়ায় জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনও আগের মতো পর্যটকবান্ধব হয়ে ওঠেনি বলে ভাষ্য পর্যবেক্ষকদের। এদিকে, বিমানে করে যাওয়া পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিলেও নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় কর্তৃপক্ষ সোমবার থেকে শ্রীনগরে লকডাউন দিয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যাও ১০ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে, মৃতু্য হয়েছে ১৮৭ জনের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে