ট্রাম্পের প্রতিশোধ

জার্মানি থেকে ১২ হাজার সেনা সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

বিরোধিতায় কংগ্রেস, জার্মানির উদ্বেগ

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলকে মোটেই পছন্দ করেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই অপছন্দের বিষয়টি গোপনও করেন না। মার্কেলও যে ট্রাম্প সম্পর্কে উচ্চধারণা পোষণ করেন না, একাধিকবার তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু দুই সরকারপ্রধানের মধ্যে ব্যক্তিগত রসায়নের কারণে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হবে, এমনটা কেউ ধারণা করেনি। এবার ঠিক তাই ঘটল। ট্রাম্পের এক সিদ্ধান্তের পর বুধবার জার্মানি থেকে প্রায় ১২ হাজার সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদসূত্র : সিএনএন, রয়টার্স, ডয়চে ভেলে পশ্চিমা দুনিয়ার সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশ জার্মানি থেকে যে সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে, এর মধ্যে প্রায় ছয় হাজার ৪০০ সেনা দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। আর বাকিদের ইতালি ও বেলজিয়ামের মতো অন্য ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোতে মোতায়েন রাখা হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, কৌশলগত কারণে ইউরোপে সেনা পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ন্যাটোর লক্ষ্য পূরণ করতে জার্মানি ব্যর্থ হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিকে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক বিরোধিতা করছে দেশটির কংগ্রেস। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জার্মানির কর্মকর্তারাও। ট্রাম্প দীর্ঘ দিন ধরেই ইউরোপের ন্যাটো দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে আসছেন। তিনি বলছেন, জোটের ব্যয় নির্বাহে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ন্যাটো সদস্যদের আর খুব বেশি নির্ভর থাকা উচিত হবে না। এর আগে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় নিজ নিজ দেশের জিডিপির দুই শতাংশে উন্নীত করতে সম্মত হয়। তবে জার্মানিসহ অন্য অনেক দেশ এখন পর্যন্ত ওই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। জার্মানি থেকে সেনা সরানোর ঘোষণার কিছুক্ষণ পর হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমরা আর শোষিত হতে চাই না। সেনা কমাচ্ছি, কারণ তারা খরচ দিচ্ছে না, ফল খুব স্বাভাবিক।' তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেসে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। অনেকেই মনে করছেন এই সিদ্ধান্তে শক্তিশালী হবে রাশিয়া। ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর মিট রমনি এই সিদ্ধান্তকে 'মারাত্মক ভুল' আখ্যা দিয়েছেন।