ভারতের শিক্ষানীতিতে আমূল পরিবর্তন

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের শিক্ষানীতির বিশাল পরিবর্তন হচ্ছে ৩৪ বছর পর। ব্যাপক পরিবর্তন করা হচ্ছে প্রাক-প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত। একই সঙ্গে আবারও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতদিন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় শিক্ষাসংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত নিত। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, নতুন শিক্ষানীতিতে কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে গেল মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সংবাদসূত্র :পিটিআই, এএনআই, ডয়চে ভেলে কয়েক বছর ধরেই শিক্ষানীতিতে ব্যাপক রদবদলের ইঙ্গিত দিচ্ছিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় তা মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়। নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষার অধিকার দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সবাইকে নিজের ভাষায় পড়াশোনা করতে হবে। ইংরেজি মাধ্যমে নয়। তবে পঞ্চম শ্রেণির পর অবশ্য যেকোনো মাধ্যমেই পড়াশোনা করা যাবে। মাধ্যমিক স্তর থেকেই যেকোনো বিদেশি ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের ওপর কোনো ভাষা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। তারা ইচ্ছেমতো যেকোনো বিষয় শেখার অধিকার পাবে। তবে সংস্কৃত শিক্ষায় জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন করা হয়েছে স্কুল শিক্ষার কাঠামোয়। এতদিন ১০ বছরের মাধ্যমিক স্তর এবং দুই বছরের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের কাঠামোয় পড়াশোনা হতো। নতুন নিয়মে তা ভাঙা হয়েছে পাঁচ বছর, তিন বছর, তিন বছর এবং চার বছরের নিয়মে। এর মধ্যে তিন বছরের প্রাক-প্রাথমিক স্তর নিশ্চিত করা হয়েছে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নতুন নীতিতে। অর্থাৎ, মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা আর দিতে হবে না। নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মধ্যে আটটি সেমিস্টারের কথা বলা হয়েছে। ওই সেমিস্টারের গড় নম্বর যোগ করেই দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশ হবে। আলাদা করে আর কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না। শুধু তা-ই নয়, এর আগে দশম শ্রেণির পর ছাত্রছাত্রীরা কলা, বিজ্ঞান অথবা বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনার সুযোগ পেত। নতুন শিক্ষানীতিতে এই বিভাজন তুলে দেওয়া হচ্ছে। নবম শ্রেণির পর ছাত্রছাত্রীরা যেকোনো বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ, একই সঙ্গে রসায়ন এবং দর্শন পড়া যাবে। গণিত এবং ইতিহাস একই সঙ্গে পড়তে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। স্নাতক স্তরে আগে তিন বছর পড়াশোনা করতে হতো। নতুন নিয়মে স্নাতক স্তরে চার বছর পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। তবে স্নাতকোত্তর স্তরে দুই বছরের জায়গায় এক বছর পড়তে হবে। স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডির মাঝখানে এমফিল কোর্স তুলে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, স্নাতকোত্তর শেষ করেই ছাত্রছাত্রীরা পিএইচডি করতে পারবে। পুরানো ব্যবস্থায় অবশ্য এমফিল বাধ্যতামূলক ছিল না। চাইলে এমফিল না করেও পিএইচডি করা যেত। \হ