বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

'মেইল ইন ভোটিংয়ের' বিরুদ্ধে লড়াই শুরু ট্রাম্পের

যাযাদি ডেস্ক
  ০৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের নির্বাচনে 'মেইল ইন ভোটিংয়ের' বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মেইলে ভোটাধিকার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদসূত্র : এএফপি, রয়টার্স

ট্রাম্পের আশঙ্কা এই পদ্ধতির ভোটে লাভবান হবেন প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেট দলের জো বাইডেন। পুনর্নির্বাচিত হওয়ার তীব্র লড়াইয়ে শামিল ট্রাম্প সোমবার বলেন, তিনি নেভাদা অঙ্গরাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করবেন, যেন রাজ্যটি তার সকল ভোটারকে আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পোস্টাল সার্ভিস ব্যবহার করে ভোটের সুযোগ দিতে না পারে। টুইট করে তিনি বলেছেন, নেভাদা মেইলের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে ওই রাজ্যে রিপাবলিকানদের জয় অসম্ভব করে তুলবে। তিনি টুইট করে আরও বলেন, 'কোভিড ব্যবহার করে রাজ্য চুরি। দেখা হবে আদালতে।'

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যই তাদের ভোটাভুটির প্রক্রিয়া নিজস্ব উপায়ে সম্পন্ন করে। দীর্ঘদিন ধরেই মেইলের মাধ্যমে এবসেন্ট বাসিন্দাদের জন্যে ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুমোদন রয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচটি অঙ্গরাজ্য তাদের ভোটারদের এ অনুমতি দিয়েছে।

দেশটির বর্তমান বাস্তবতায় এটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ প্রায় প্রতিদিনই ৪৫ হাজারের বেশি লোক নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু রিপাবলিকানরা মেইলের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ সীমিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

ট্রাম্প নিজেও মেইলে ভোট দিয়েছেন। তবু তার আশঙ্কা এই ব্যবস্থা সর্বজনীন করা হলে ডেমোক্রেটরা বেশি ভোট পাবে। তবে কিছু বিশ্লেষক বলছেন, এতে ট্রাম্পের অন্য উদ্দেশ্য আছে। তিনি তার সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অবিশ্বাস তৈরি করতে চাইছেন। 'ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া'র নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ রিক হাসেন বলেন, নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে তিনি সম্ভবত সন্দেহ তৈরি করতে চাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তিনি হয়তো কিছু রাজনৈতিক সুবিধা পেতে পারেন। তিনি আরও বলেন, তিনি সম্ভবত তার সম্ভাব্য পরাজয়ের একটি অজুহাত তৈরি করতে চাইছেন।

উলেস্নখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে কাজের দিনে ভোট গ্রহণের কারণে অনেকেই সশরীরে হাজির হতে পারেন না। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে ডাকযোগে ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে। চলতি বছর করোনা সংকটের কারণে এ সুযোগ বিস্তৃত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে, চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট ভোট পিছিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনাও করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতে বাধ সাধেন তার উপদেষ্টারাই। তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরিকল্পনা মাফিক ৩ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোস সিবিএস-এর 'ফেস দ্য নেশন' অনুষ্ঠানে বলেন, মেইল-ইন ভোট ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাম্প নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ডাকযোগে ভোটিং ব্যবস্থায় জালিয়াতি এবং ভুল ফল আসতে পারে উলেস্নখ করে ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন পেছানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। মানুষের ভোট দেওয়ার 'যথাযথ, সুরক্ষিত ও নিরাপদ' পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে দেরি করতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তার ওই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাখ্যান করেন কংগ্রেসের ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<107836 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1