করোনা মহামারি

ব্রাজিলে মৃতু্য লাখের গন্ডি পার যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত অর্ধকোটি

বিশ্বজুড়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটির কাছাকাছি

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ব্রাজিলে কবরে মৃতদেহ নামানো হচ্ছে
করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে আক্রান্ত ও মৃতু্য হুহু করে বাড়ছেই। ব্রাজিলে এরই মধ্যে করোনায় মৃতু্য লাখের গন্ডি পেরিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা 'ওয়ার্ল্ডোমিটার'র পরিসংখ্যান বলছে, ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ১৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মারা গেছে এক লাখ ৫৪৩ জন। সংবাদসূত্র :রয়টার্স, সিএনএন তবে এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২০ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৩ জন। বর্তমানে ব্রাজিলে সক্রিয় রোগী ৮ লাখ ১৮ হাজারের বেশি। অন্যদিকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৮ হাজার ৩১৮ জন। গত মে মাসের শেষ দিক থেকে ২১ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারা গেছে ৯০৫ জন। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলেই আক্রান্ত ও মৃতু্য সবচেয়ে বেশি। শুরু থেকে ব্রাজিলে সংক্রমণ সেভাবে ছড়ায়নি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং করোনার প্রকোপ ঠেকাতে যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে দিন দিন ব্রাজিল যেন এক মৃতু্যপুরীতে পরিণত হচ্ছে। এদিকে, বিশ্বজুড়ে মহামারি সৃষ্টি করা করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ৬৬ জন বাসিন্দার মধ্যে একজন আক্রান্ত হয়েছে। শনিবার দেশটিতে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৫১ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষে আছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মোট আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যায়ও শীর্ষে আছে বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী দেশটি। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারিতে মোট মৃতু্যর প্রায় এক-চতুর্থাংশই 'সুপার পাওয়ার' হিসেবে পরিচিত এ দেশটিতে হয়েছে। চলতি বছরের শেষ দিকেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কার্যকর টিকা সহজলভ্য হতে পারে বলে গত সপ্তাহে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা ডা. অ্যান্থনি ফাউচি। এদিকে, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৯৮ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃতু্য হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে উঠেছে এক কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার জন। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও)। আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ এখনো দ্রম্নত বাড়ছে। অন্যদিকে, ইউরোপকে পর্যুদস্ত করে দিয়ে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সেখানে আবারও নতুন করে রোগটির প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।