করোনা শনাক্ত :প্রথমবারের মতো লকডাউনে ভুটান

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
থিম্পুতে করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতাল
কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রাজধানী থিম্পুর অনেক বাসিন্দার সংস্পর্শে আসা বিদেশফেরত এক নাগরিকের দেহে নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার পর দেশজুড়ে প্রথমবারের মতো লকডাউন দিয়েছে ভুটানের কর্তৃপক্ষ। বিদেশফেরত ওই ব্যক্তিকে নিয়ে হিমালয়ের ছোট এ দেশটিতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১১৩ জনে দাঁড়িয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত নতুন করোনাভাইরাসে কারও মৃতু্য হয়নি। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, এনডিটিভি মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের এক পর্যটকের দেহে প্রাণঘাতী ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর টু্যরিজমে (পর্যটন) নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি ভুটান কর্তৃপক্ষ বিদেশফেরত প্রত্যেককে তিন সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল। শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ফল 'নেগেটিভ' আসার পর কুয়েত থেকে আসা ২৭ বছর বয়সী এক নারী সম্প্রতি কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার একটি ক্লিনিকে করা শনাক্তকরণ পরীক্ষায় তার দেহে প্রাণঘাতী ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। কর্তৃপক্ষ এর পরপরই দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা দেয়। ভুটান সরকার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'সংক্রমণের চেইন ভেঙে দিতে, রোগী শনাক্ত ও তাদের আইসোলেট করতেই অভূতপূর্ব এ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। উপসর্গবিহীন রোগী, সংক্রমণের বিস্তৃতি ও রোগটি থেকে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে।' এই পরিস্থিতিতে সব স্কুল, প্রতিষ্ঠান, অফিস ও বাণিজ্যিক স্থাপনা বন্ধ থাকছে। সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে নিজেদের ক্যাম্পাসের মধ্যেই থাকতে বলা হয়েছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তারের গতি শ্লথ করতে দেশটিতে ঢোকার সব প্রবেশপথে যাচাই-বাছাই, পর্যবেক্ষণ ও শনাক্তকরণ পরীক্ষার ওপর জোর দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর কাছে অবস্থিত দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিও। বাণিজ্যিক যাতায়াত বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া ভুটানিদের নিয়ে আসতে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।