করোনা মহামারি

একদিনে ফের হাজারের বেশি মৃতু্য দেখল ভারত

দেশটিতে চিকিৎসক মৃতু্য আশঙ্কাজনক পর্যায়ে

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মহামারি করোনাভাইরাসে চরম বিপর্যস্ত ভারতে সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং প্রতিনিয়তই বাড়ছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের ভয়াবহতা। শুক্রবার নতুন করে আরও ৬৪ হাজার ৫৫৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর মৃতের সংখ্যা আবারও হাজার ছাড়িয়েছে। সংবাদসূত্র :এনডিটিভি, এবিপি নিউজ শুক্রবার প্রায় ৬৫ হাজার নতুন আক্রান্তের মধ্য দিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯০ জন। এখনো চিকিৎসাধীন ছয় লাখ ৬১ হাজার ৫৯৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৭ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৫ জন। আর মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮ হাজার ৪০। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দেশটিতে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৬ হাজার ৯৯৯। আগের শুক্রবার ভারতে একদিনে সংক্রমণ প্রথমবারের মতো ৬০ হাজার ছাড়ায়। এরপর অব্যাহত ছিল সেই ধারা। গত সোমবার নতুন করে আরও ৬২ হাজার করোনায় আক্রান্ত হয়। মৃতু্য হয় এক হাজারের বেশি মানুষের। তবে সেই সংখ্যায় কিছুটা স্বস্তি মেলে মঙ্গলবার। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা নেমে যায় ৫৫ হাজারের নিচে। তবে এই স্বস্তি স্থায়ী হয়নি। বুধবারই আবারও ৬০ হাজারের গন্ডি ছাড়িয়ে যায় সংক্রমণ। শুক্রবার বৃহস্পতিবারের তুলনায় একদিনের সংক্রমণ কম হলেও বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ভারতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ১২৬ জন। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ২০ হাজার ৩৫৫। মৃতু্য হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৯৭ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৬৪ হাজার ১৪২ জনে। কর্ণাটকে আরও ছয় হাজার ৭০৬ সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে চিকিৎসকদের মৃতু্য এদিকে, করোনা মহামারিতে ভারতে চিকিৎসকদের মৃতু্য আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে দেশটির চিকিৎসকদের একটি সংগঠন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে 'ইনডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন' (আইএমএ) জানিয়েছে, এরই মধ্যে প্রায় ২০০ চিকিৎসক করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে মহামারির মধ্যে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে বলে সতর্ক করা হয় ওই চিঠিতে।