আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার চেষ্টা ব্যর্থ

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উত্থাপিত ওই প্রস্তাবে ১১টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। আর এর পক্ষে ও বিপক্ষে দুটি করে ভোট পড়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি যুক্তরাষ্ট্র ও ডোমিনিকান রিপাবলিক প্রস্তাবটির পক্ষে এবং চীন ও রাশিয়া এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। বাকি কোনো দেশ ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে শুক্রবার রাতে অনলাইনে নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এখন পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইরানের ওপর জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র গত মঙ্গলবার প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তুলতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন ওয়াশিংটন বুঝতে পারে, এটি পাস হবে না, তখন সে এটি উত্থাপন করা থেকে বিরত থাকে। পরে মার্কিন সরকার ওই প্রস্তাবে ইরানবিরোধী বক্তব্যের তীব্রতা কমিয়ে আনে, যাতে এটির পক্ষে সব দেশের ভোট আদায় করা যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে গেছে। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তেহরানের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এর ফলে এখন ইরান আগামী অক্টোবর মাস থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমরাস্ত্র বেচাকেনা করতে পারবে। এদিকে, ইরানবিরোধী প্রস্তাব পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের। কিন্তু এ দায়িত্ব পালনে পরিষদ ব্যর্থ হয়েছে এবং এর কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে না।' পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নিরাপত্তা পরিষদে ওয়াশিংটনের বেআইনি আবদার প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় পম্পেওর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়- নিরাপত্তা পরিষদসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে একক কর্তৃত্বের অধিকারী বলে মনে করে। অথচ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে প্রমাণিত হয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটির প্রভাব আলগা হয়ে যাচ্ছে এবং তারা একঘরে হয়ে পড়েছে। এমনকি ইউরোপীয় মিত্ররা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করেনি।