নতুন সম্পকর্ প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তান সফরে মাকির্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মাইক পম্পেও
দক্ষিণ এশিয়ায় ক‚টনৈতিক সফরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান পেঁৗছেছেন মাকির্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বুধবার পাকিস্তানের স্থানীয় সময় দুপুর ১টার কিছু সময় আগে পম্পেওকে বহনকারী বিমানটি ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সফরের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন সম্পকর্ প্রতিষ্ঠা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সফরে গিয়ে পাকিস্তানের নবনিবাির্চত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পম্পেও। আফগান যুদ্ধ ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এরপর ভারত সফরে যাবেন পম্পেও। সংবাদসূত্র : ডন, রয়টাসর্, এএফপি পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত ১৮ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান। এরপরই নবনিবাির্চত এ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে ইসলামাবাদ সফরের পরিকল্পনা করেন মাইক পম্পেও। আরও পরিকল্পনা অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে ইসলামাবাদে পেঁৗছান তিনি। ইমরানের সঙ্গে বৈঠকের মধ্যদিয়ে পম্পেওই হবেন নবনিবাির্চত পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককারী প্রথম কোনো বিদেশি প্রতিনিধি। ইমরান ছাড়াও দেশটির সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন পম্পেও। তার পরবতীর্ গন্তব্য ভারত। দিল্লি সফরে সিনিয়র ভারতীয় কমর্কতাের্দর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ইরানের কাছ থেকে তেল ও রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা না কিনতে ভারতকে চাপ প্রয়োগ করনে পম্পেও। যুক্তরাষ্ট্র আর তাদের মিত্ররা দীঘির্দন ধরেই ধারাবাহিক অভিযোগ করে আসছে, আফগান তালেবান ও তাদের মিত্র হাক্কানি নেটওয়াকের্ক নিরাপদ স্বগর্ গড়ে তুলতে দিয়েছে পাকিস্তান। আর সন্ত্রাসীরা তা ব্যবহার করে সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে এলেও মাকির্ন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা কঠোর করেছেন। এর শেষ ফল হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ এনে পাকিস্তানে নিরাপত্তা সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে তখন ট্রাম্পের ঘোষণার পরও সম্পকর্ টিকিয়ে রাখার কথা জানিয়েছিলেন মাকির্ন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। তিনি বলেছিলেন, সহায়তা স্থগিত সাময়িক। আর এটি আপাতত স্থগিত করা হলেও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পকর্ রেখে চলবে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্রকে উদ্ধৃত করে গত মাসে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ জানিয়েছিল, পাকিস্তানি কমর্কতাের্দর সঙ্গে আলোচনার সময় পম্পেও দুটি বড় ইস্যুর ওপর প্রাধান্য দিতে পারেন। সেগুলো হলো, দুই রাষ্ট্রের মধ্যে এক সময়কার ঘনিষ্ঠ সম্পকের্ক পুনজার্গরিত করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগান শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু করতে পাকিস্তানের সমথর্ন আদায় করা। আর আন্তজাির্তক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ১২০০ কোটি ডলারের অথৈর্নতিক প্যাকেজ পাওয়ার প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সমথর্ন চাইতে পারে পাকিস্তান। নতুন করে সম্পকর্ স্থাপনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র এর আগে মাকির্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মঙ্গলবার বলেন, তিনি আশা করছেন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পকর্ নতুন করে শুরু হবে। ইসলামাবাদ যাওয়ার আগে তিনি এ মন্তব্য করেন। পম্পেও বলেন, ‘প্রথমে পাকিস্তানে যাবো। দেশটির নতুন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। তার শাসন আমলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পকর্ নতুন করে শুরু করতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের সামনেই কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী, অভিন্ন স্বাথর্ খুঁজে পাবো আমরা এবং সেখানে একসঙ্গে আমাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারব।’