যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন

অরেগনের সহিংসতা নিয়ে দুই প্রার্থীর বাগ্‌যুদ্ধ

ডেমোক্রেট প্রার্থী নেতৃত্ব দিতে অনাগ্রহী :ট্রাম্প তার ব্যর্থতাই বলে দেয় তিনি কতটা দুর্বল :বাইডেন

প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প জো বাইডেন

অরেগনের পোর্টল্যান্ডে সহিংসতা নিয়ে পরস্পর বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইবেন। নিজের শহরে 'মৃতু্য এবং ধ্বংসলীলা' চালাতে দেয়ার জন্য পোর্টল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক মেয়র টেড হোয়েলারকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে বাইডেন বলেছেন, 'বেপরোয়াভাবে সহিংসতায় উসকানি দিয়েছেন' ট্রাম্প। সংবাদসূত্র : বিবিসি নিউজ গত শনিবার 'বস্ন্যাক লাইভস ম্যাটার' (কৃষ্ণাঙ্গদেরও বাঁচার অধিকার আছে) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ট্রাম্পপন্থী একটি মিছিলের কর্মীদের সংঘর্ষ হলে গুলিতে একজন নিহত হয়। পুলিশের গুলিতে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃতু্যর পর থেকে পুলিশের নিষ্ঠুরতা এবং বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পোর্টল্যান্ড। মিনিয়াপোলিসে গত ২৫ জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশ-বিদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক লেখালেখির পর শহরে পাল্টা জমায়েত করতে না আসার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন মেয়র হোয়েলার। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, 'আপনারা যারা আজ সকালে টুইটারে লেখালেখি করছেন, আপনারা প্রতিশোধ নিতে পোর্টল্যান্ড আসবেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, দূরে থাকুন।' ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি বলছেন, 'মার্কিন প্রেসিডেন্টই বরং বিদ্বেষ আর বিভেদ তৈরি করছেন।' গত রোববার বেশ কয়েকটি টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, 'একজন বোকা মেয়রকে নিয়ে পোর্টল্যান্ড কখনোই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে না।' তিনি শহরে ফেডারেল ফোর্স পাঠানোরও পরামর্শ দিয়েছেন। বাইডেনকে অভিযুক্ত করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নেতৃত্ব দিতে অনাগ্রহী। এরপর এক বিবৃতিতে জো বাইডেন বলছেন, 'ট্রাম্প হয়তো মনে করেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করলে তার অবস্থান শক্ত হবে- সংঘর্ষ থেকে সমর্থকদের বিরত রাখতে তার ব্যর্থতাই বলে দেয়, তিনি আসলে কতটা দুর্বল।' পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রম্নতিগুলোর একটি আইনশৃঙ্খলা, যেখানে জো বাইডেনকে তিনি অপরাধের ক্ষেত্রে নমনীয় বলে দেখানোর চেষ্টা করেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারির ভারপ্রাপ্ত প্রধান চ্যাড উলফ বলেন, পোর্টল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক কর্মকর্তারা 'বেআইনি কর্মকান্ড ও বিশৃঙ্খলা' বেড়ে ওঠার সুযোগ দিয়েছেন। তারা বলছেন, সমস্যার সমাধানে সব পদক্ষেপ নিয়েই ভাবা হচ্ছে। তবে ডেমোক্রেটরা পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির আওতায় সহিংসতা ঘটছে এবং তার বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলছেন। পোর্টল্যান্ডের ওই গুলির ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। শহরটিতে প্রায় একমাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। পোর্টল্যান্ড পুলিশ একটি বিবৃতি জানিয়েছে, 'সাউথইস্ট থার্ড অ্যাভিনিউ এবং সাউথইস্ট আলডার স্ট্রিটের দিক থেকে গুলির শব্দ পাওয়া শুনতে পেয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা সেখানে গিয়ে বুকে গুলি লাগা একজন ব্যক্তিকে দেখতে পান।' অরেগনের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, মৃতদেহের পাশ থেকে 'ক্যামোফ্লেজ গিয়ার'সহ পুলিশে ব্যবহৃত হয়, এমন সব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একজন ব্যক্তিকে আটক করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। শহরে চলা বিক্ষোভের সঙ্গে এই গুলির ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, তাও পুলিশ পরিষ্কার করেনি।