নিউইয়কর্ টাইমসে নিবন্ধ লিখে দাবি হোয়াইট হাউসের কমর্কতার্র

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘নীরব প্রতিরোধ’ প্রশাসনে

ম ওই কমর্কতাের্ক ‘ভীরু’ লোক বলেছেন ট্রাম্প, আর নিউইয়কর্ টাইমসকে ‘ভুয়া’ ম লেখাটি প্রকাশ করতে পেরে গবির্ত নিউইয়কর্ টাইমস

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কমর্কতার্ দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্টের অনৈতিক আচরণের বিরুদ্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে। অথার্ৎ, তাকে হোয়াইট হাউস থেকে সরাতে কেবিনেট সদস্যদের মধ্যেই একটি ‘নীরব প্রতিরোধ’ চলছে। বুধবার নিউইয়কর্ টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ওই কমর্কতার্ এ দাবি করেছেন। ‘নিউইয়কর্ টাইমস’ নাম প্রকাশ না করে মাকির্ন প্রশাসনের ওই কমর্কতার্র নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে তাদের উপ-সম্পাদকীয় পাতায়; যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একজন ‘অস্থিরমতি’ ব্যক্তি হিসেবে বণর্না করা হয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি ওই কমর্কতার্ লিখেছেন, ‘ট্রাম্পের সহযোগীরা তার ভুল সম্পকের্ সজাগ এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক জ্যেষ্ঠ কমর্কতার্ই তার কিছু কমর্কাÐ ও বাজে আচরণ প্রতিরোধে সযতেœ কাজ করে যাচ্ছেন। আমি জানি, আমি তাদেরই একজন।’ নিবন্ধটির লেখক আরও বলেছেন, ‘ক্ষমতা থেকে বিদায়ের আগ পযর্ন্ত তার আরও ভুল সিদ্ধান্তের হাত থেকে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষায় ট্রাম্পের নিয়োগ দেয়া অনেকেই প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।’ ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘অনৈতিক’ ও ‘আবেগতাড়িত’ আচরণের কারণে অপরিণামদশীর্ নানা সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে মাকির্ন প্রশাসনকে। হোয়াইট হাউসের ওই কমর্কতার্ লিখেছেন, ‘এই বিশৃঙ্খল সময়ে এটা হয়তো শীতল সান্ত¡না। তবে মাকির্নীদের জানা ?উচিত, ঘরে প্রাপ্তবয়স্ক লোকজনও রয়েছে। যা ঘটছে আমরা সে বিষয়ে পূণর্ সজাগ। যেটা সঠিক আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি সেটা নাও করেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট তার প্রশাসন থেকে যেভাবে প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছেন, সম্ভবত আধুনিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো নেতা তা হননি।’ এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাম প্রকাশ না করা ওই কমর্কতাের্ক বণর্না করেছেন একজন ‘ভীরু’ লোক হিসেবে; আর নিউইয়কর্ টাইমসকে ‘ভুয়া’ বলেছেন। ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হুকাবি স্যান্ডাসর্ বলেছেন, রহস্যময় ওই লেখক একজন কাপুরুষ, তার পদত্যাগ করা উচিত। স্যান্ডাসর্ কড়া আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘এই নিবন্ধের পেছনের ব্যক্তি যথাযথভাবে নিবাির্চত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে সহায়তা না করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। দেশকে প্রথমে স্থান না দিয়ে আমেরিকান জনগণের ইচ্ছার সামনে নিজেকে ও নিজের অহংকে জায়গা দিয়েছেন।’ স্যান্ডাসর্ ও ট্রাম্প দু’জনেই ওই নিবন্ধ ছাপার জন্য নিউইয়কর্ টাইমসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি যখন দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন, তখন এ সব ‘ভুয়া গণমাধ্যমের কোনো কাজ থাকবে না’। কারণ তাদের লেখার কোনো কিছু থাকবে না। এদিকে, নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার কথা জানিয়ে নিউইয়কর্ টাইমস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘লেখাটি প্রকাশ করতে পেরে আমরা গবির্ত। ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরে আসলে কী চলছে, তা বুঝতে সাধারণ পাঠকের জন্য এই লেখা সহায়ক হবে।’ এর আগে বুধবার ‘ওয়াটারগেট’ কেলেঙ্কারির প্রতিবেদনের জন্য বিখ্যাত সাংবাদিক বব উডওয়াডের্র লেখা নতুন বইতে দাবি করা হয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। সাংবাদিক বব উডওয়াডের্র প্রকাশিতব্য একটি বইয়ের অংশবিশেষে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের কিছু কমর্কতার্ একটি ‘প্রশাসনিক অভ্যুত্থানচেষ্টায়’ জড়িত, যারা প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করতে চাইছেন। ট্রাম্প সই করার আগেই তার টেবিল থেকে তারা জরুরি নথিপত্র সরিয়ে ফেলছেন। বব উডওয়াডের্র ‘ফিয়ার : ট্রাম্প ইন দ্য হোয়াইট হাউস’ বইয়ের সেই ‘প্রশাসনিক অভ্যুত্থানচেষ্টার’ খবর যে সঠিক, তার সমথর্ন পাওয়া গেল নিউইয়কর্ টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধে। সেই লেখক বলেছেন, তিনি লিবারেলদের কেউ নন। যে লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে, তার সঙ্গেও তিনি একমত। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সে সব লক্ষ্য অজের্ন প্রেসিডেন্টের কোনো কৃতিত্ব নেই, বরং তিনি থাকার পরও সে সব লক্ষ্য অজর্ন একটি সাফল্য। ট্রাম্পকে নিয়ে ওই কমর্কতার্র বক্তব্য, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সমালোচনার তালিকা যে বিশাল, তা তার ডান-বামের বিরোধীদের সবারই জানা আছে। হযবরল সভা, অসহিষ্ণু ও নিচ আচরণ, সিদ্ধান্তে অটল থাকার অক্ষমতা, মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি বিদ্বেষ ও অগণতান্ত্রিক প্রবৃত্তি। ওই কমর্কতার্ দুই ধরনের প্রেসিডেন্সির কথা বণর্না করেছেন, যেখানে কিম জং-উন ও ভøাদিমির পুতিনসহ ‘একনায়ক ও স্বৈরশাসকদের’ প্রতি প্রশংসাসূচক মনোভাবের মতো প্রেসিডেন্টের কমর্কাÐগুলো ‘ঘরের বড়দের’ বাধার মুখে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।