টাইফুনের পর শক্তিশালী ভ‚মিকম্পে কঁাপল জাপান :নিহত ৯

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
টাইফুন জেবির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বৃহস্পতিবার শক্তিশালী ভ‚মিকম্পে কেঁপে উঠল জাপানের উত্তরাঞ্চল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। এতে নয়জন নিহত এবং প্রায় ৩৮ জনের নিখেঁাজ থাকার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি ‘এনএইচকে’। তারা ১২০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে। ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনে তছনছ হওয়ার পর ভ‚মিকম্প আঘাত হানলো দেশটিতে। সংবাদসূত্র : বিবিসি উত্তরাঞ্চলে হোক্কাইডো দ্বীপে ভ‚মিকম্পের আঘাতের পর প্রায় ৩০ লাখ বাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন এবং একটি পরমাণু বিদ্যুতকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে সুনামির আঘাতের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের ভ‚তাত্তি¡ক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ভ‚মিকম্পের মাত্রা ৬.৬ এবং এর উৎপত্তিস্থল তমোকোমাই শহরে ভ‚পৃষ্ঠের ২৭ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে। এদিন খুব ভোরে সাপ্পোরোর ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূবার্ঞ্চলে ভ‚মিকম্পের আঘাতের পর ভ‚মিধসের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কিছু বাড়িঘর মাটিচাপা পড়ে। ভ‚মিকম্পের পর সাপ্পোরোর চিতোসে বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের জন্য একটি টাস্কফোসর্ গঠন করা হয়েছে এবং জাপানের দুযোর্গ দপ্তরের ২৫ হাজার সদস্যকে দুগর্ত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, সম্ভাব্য বড় ধরনের ঝুঁকি এড়াতে জনসাধারণকে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিণর্য় করা কঠিন। তবে সরকার জনগণের প্রাণের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সবাইকে সতকর্ হয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার শিকোকু দ্বীপে আঘাত হানে শক্তিশালী টাইফুন জেবি। এটি পরে উত্তর দিকে ধেয়ে যায়। এরপর হোনশু দ্বীপের পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানে। এতে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে জাপান সাগরের দিকে গিয়ে পূবর্ দিকে যাওয়ারা পর জেবি দুবর্ল হয়ে পড়ে। জেবির তাÐবে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ওসাকা ও কিয়েতোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেবির প্রভাবেই হোক্কাইডো দ্বীপে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তবে এখানে জেবির চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভ‚মিকম্পের আঘাতের পর। ভ‚মিকম্পের পর বিস্তৃত এলাকাজুড়ে পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়। নিখেঁাজ লোকজনের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার কাজে সাহায্য করতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীরা হোক্কাইডোর উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।