কাতারে শান্তি আলোচনা

আফগানিস্তানে তালেবানেই ভরসা পাকিস্তানের

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদল
অনেক প্রতীক্ষার পর অবশেষে আফগান সরকার এবং তালেবানের মধ্যে 'ঐতিহাসিক' শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। উপসাগরীয় দেশ কাতারে আফগান সরকার ও তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথমবারের মতো শান্তি আলোচনাকে কেন্দ্র করে আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ঐতিহাসিক এ আলোচনা ঘিরে যতটা না আগ্রহ কাজ করছে আফগান জনগণের, তার চেয়েও মুখিয়ে আছে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রত্যাশা, আফগানিস্তানে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের সঙ্গে যেন তালেবানের সুসম্পর্ক থাকে। কারণ পাকিস্তান মনে করে, তালেবান ভারতের চেয়ে পাকিস্তানকে বেশি প্রাধান্য দেবে। সংবাদসূত্র : বিবিসি ইসলামাবাদের নিরাপত্তা বিশ্লেষক হাসান আসকার রিজভি ঠিক এমনটিই মনে করেন। তিনি বলেন, 'পাকিস্তান এখন সত্যিই আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা চাইছে। কিন্তু তারা চায় এমন একটি সরকার কাবুলে ক্ষমতায় থাকবে যাদের সঙ্গে ভারতের চেয়ে তাদের ঘনিষ্ঠতা বেশি হবে। পাকিস্তান চায় ভবিষ্যতে কাবুলে যে সরকারই আসুক না কেন তালেবান যেন তার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়।' 'কেন তালেবানের ওপর পাকিস্তান এত ভরসা করছে?' এমন প্রশ্নে হাসান আসকার রিজভি বলেন, 'যদিও বিষয়টি এমন নয় যে তালেবান এখন পাকিস্তানের কথায় ওঠাবসা করে, তারপরও পাকিস্তান মনে করে তালেবান ভারতের চেয়ে পাকিস্তানকে প্রাধান্য দেবে।' 'তালেবানের কাছে ভারত একটি অমুসলমান দেশ। তাদের কাছে বিষয়টা খুব স্পষ্ট। পাকিস্তানের দৃঢ় বিশ্বাস যে, আফগানিস্তানে গত এক দশকে ভারতের যে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব যেভাবে বাড়ছে তা তাদের নিরাপত্তার জন্য গভীর হুমকি তৈরি করেছে', বলেন ইসলামাবাদের এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক। তিনি বলেন, 'পাকিস্তান বিশ্বাস করে আফগান গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে। বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য করছে। পাকিস্তান এই অবস্থার পরিবর্তন চায়।' তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের। ১৯৯০-এর দশকে আফগান গৃহযুদ্ধে তালেবানকে সমর্থন দেয় পাকিস্তান। ১৯৯৬-তে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর যে মাত্র তিনটি দেশ তাদের বৈধ সরকার বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল তাদের একটি ছিল পাকিস্তান।