সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রিসেপ তাইয়ে্যপ এরদোয়ান
গ্রিসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী তুরস্ক যাযাদি ডেস্ক পূর্ব-ভূমধ্যসাগরে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিতর্কের মীমাংসা করতে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত তুরস্ক। ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ে্যপ এরদোয়ান। গ্রিস ও সাইপ্রাসের পানিসীমার কাছে বিতর্কিত এলাকায় তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান চালাচ্ছে তুরস্ক। তাতে দুই ন্যাটো প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধের মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কৌশলগত এই সমুদ্রসীমায় দুই দেশ বিমান ও নৌ-মহড়া দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলকেও নাড়া দিয়েছে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি অবস্থান। তবে কারও হস্তক্ষেপে নয়, আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা মিটবে বলে আশা এরদোগানের। তিনি বলেছেন, 'গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কি একটা বৈঠক হতে পারে? এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হতে পারে আমাদের আলোচনা।' গ্রিসকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এরদোয়ান আরও বলেছেন, 'সদিচ্ছা থাকলে আমরা আলোচনায় বসতে পারি। সেটা হতে পারে ভিডিও কনফারেন্সে কিংবা তৃতীয় কোনো দেশে।' বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্স করে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলকে এরদোয়ান বলেন, সংলাপের মাধ্যমে চলমান দ্বন্দ্বের মীমাংসা হতে পারে, তবে এর ভিত্তি হতে হবে স্বচ্ছতা। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, তুরস্ক তার অধিকারের প্রশ্নে চূড়ান্ত ও সক্রিয় নীতি বাস্তবায়ন করবে। সংবাদসূত্র :আল-জাজিরা পদত্যাগের পর যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্রে আবে যাযাদি ডেস্ক জাপানের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে শনিবার একটি যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করেছেন। প্রতিবেশী দেশগুলো এটিকে টোকিওর অতীতের কঠোর সামরিক ব্যবস্থার প্রতীক হিসেবে দেখে থাকে। আবে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিতর্কিত এ সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। ওই ঘটনায় যুদ্ধকালীন শত্রম্ন দেশ চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া আবের কঠোর সমালোচনা করে এবং ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও এক ব্যতিক্রমী কূটনৈতিক তিরস্কার করা হয়। আবে শনিবার টোকিওর মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ওই সমাধিক্ষেত্রে কাঠের করিডোর বরাবর হেঁটে চলার নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে ডার্ক সু্যট পরিহিত আবেকে সাদা পোশাকের এক পুরোহিতকে পাহারা দিতে দেখা যায়। আবে গত মাসের শেষের দিকে স্বাস্থ্যজনিত জটিলতার কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং গত বুধবার ইয়োশিহিদে সুগা তার স্থলাভিষিক্ত হন। সংবাদসূত্র :এএফপি সন্তানের পরিচয়পত্রে এবার মায়ের নাম যাযাদি ডেস্ক আফগানিস্তানে এখন থেকে সন্তানের জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নামও থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এ সংক্রান্ত একটি আইনের সংশোধনীতে স্বাক্ষরও করেছেন। নারী অধিকারকর্মীদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলশ্রম্নতিতে আফগান কর্তৃপক্ষ সন্তানের পরিচয়পত্রে মায়ের নাম যুক্ত করতে যাচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটির অনেক অংশে এখনো কোনো নারীর নাম প্রকাশ্যে এলে তাকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। কোথাও কোথাও একে অপমানজনক বলেও বিবেচনা করা হয়। এ রীতির কারণে এতদিন ধরে আফগানিস্তানে শিশুদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কেবল বাবার নামই থাকত। তিন বছর আগে নারীদের নাম প্রকাশ্যে আনা প্রসঙ্গে আফগানিস্তানে 'হয়ার ইজ মাই নেম' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা দেশটির অনেক পার্লামেন্ট সদস্য ও সেলিব্রিটির সমর্থন পায়। ওই সময় থেকেই সন্তানের পরিচয়পত্রে মায়ের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জোরালো হতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্য একটি ক্যাম্পেইনেও নারী অধিকারকর্মীরা পরিচয় দেওয়ার সময় নিজের নামের পাশাপাশি মায়ের নাম ব্যবহার করেছেন। শেষ পর্যন্ত সন্তানের পরিচয়পত্রে মায়ের নাম যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন 'হয়ার ইজ মাই নেম' হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইনের প্রতিষ্ঠাতা লালেহ ওসমানি। সংবাদসূত্র : বিবিসি