নিউইয়কর্ টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধ

প্রশাসনে তোলপাড় :লেখার দায় কেউ স্বীকার করছেন না

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নিবন্ধটি প্রকাশের পর বিশেষ বৈঠক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করে লেখা নিবন্ধ নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। দায় স্বীকার করছেন না কোনো মাকির্ন উচ্চপদস্থ কমর্কতার্। বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে তারা স্বতন্ত্রভাবে জানিয়ে দেন, ওই বেনামী নিবন্ধের লেখক তারা নন। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘নিউইয়কর্ টাইমস’র সম্পাদকীয় পাতায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আক্রমণ করে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ওই নিবন্ধের লেখক একজন উচ্চপদস্থ মাকির্ন কমর্কতার্ বলে দাবি করা হয়। তবে লেখকের কোনো নাম দেয়া হয়নি। সংবাদসূত্র : বিবিসি নিবন্ধে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিয়োগকৃত ব্যক্তিরা তাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। নিবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তা কে লিখেছেন, তা নিয়ে বিশদাকারে অনুমান-আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই নিবন্ধটির লেখককে ‘কাপুরুষ’ এবং ওই পত্রিকাকে ‘ভুয়া’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই নিবন্ধটি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করেছে।’ বৃহস্পতিবার যারা ওই নিবন্ধটি লেখার দায় অস্বীকার করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও। তিনি ওই নিবন্ধটি লিখেছেনÑ এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তার মুখপাত্র নিবন্ধটিকে ‘মিথ্যা, যুক্তিহীন ও কাপুরুষোচিত’ বলে উল্লেখ করেন। বেশ কয়েকজন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও উচ্চপদস্থ সরকারি কমর্কতার্ও ওই মতামতটি লেখার দায় অস্বীকার করেন। ওই বেনামী লেখককে আক্রমণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘আমার কাছে স্পষ্ট কথা। আপনি যদি কমান্ডারের আদেশ বাস্তবায়ন করতে না পারেন, আপনার কাছে একটিই পথ খোলা আছে- বিদায় নেয়া।’ আর অথর্মন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন মতামতটিকে ‘দায়িত্বহীন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টজেন নিয়েলসনও ওই নিবন্ধের দায় অস্বীকার করেন। কী আছে ওই সাড়া জাগানো নিবন্ধে? ‘আই অ্যাম পাটর্ অব দ্য রেজিস্ট্যান্স ইনসাইড দ্য ট্রাম্প অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’। অথার্ৎ ‘ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতর প্রতিরোধের একটি অংশ আমি’ নামের ওই নিবন্ধটি কে লিখেছেন, তার নাম প্রকাশ না করে নিউইয়কর্ টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কমর্কতার্ এটি লিখেছেন, যিনি তার নাম প্রকাশ করতে চান না এবং পাঠকদের কাছে ‘গুরুত্বপূণ দৃষ্টিকোণ’ পেঁৗছে দেয়ার জন্য এটি প্রকাশ করা গুরুত্বপূণর্। ওই নিবন্ধে বলা হয়, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক জ্যেষ্ঠ কমর্কতার্ তার এজেন্ডা ও নিকৃষ্ট অভিলাষ ব্যথর্ করার জন্য অধ্যবসায় করে যাচ্ছেন। আমি জানি। আমি তাদের মধ্যে একজন।’ ওই লেখক জানান, তারা প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমথর্ন করেন। তাদের মতে, প্রেসিডেন্টের চেষ্টা সত্তে¡ও প্রশাসন তাদের সাফল্য অজর্ন করছে। নিবন্ধে প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘আবেগতাড়িত’, ‘অনিশ্চিত গতিসম্পন্ন’, ‘নৈতিকতাহীন’ এবং ‘ভুল পথে চালিত তাড়নাসম্পন্ন’ ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের মঙ্গলের স্বাথের্ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলেও তাতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘এই বিশৃঙ্খল সময়ে এটি হয়তো সামান্য সান্ত¡না, তবে মাকিির্নদের মনে রাখতে হবে, প্রশাসনে এখনো প্রবীণরা রয়েছেন। যা ঘটছে, তার সব কিছু আমরা স্বীকার করি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ভুল, তখনো আমরা যা সঠিক তাই করার চেষ্টা করি।’