সিরিয়ার ইদলিবে চ‚ড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইদলিবে সিরীয় সেনার অভিযানের প্রস্তুতি
সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহীদের শেষ শক্ত ঘঁাটিতে চ‚ড়ান্ত সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিরিয়া ও রাশিয়ার সেনারা। এর বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা বলছে, সিরিয়া রাসায়নিক হামলা চালাবে এবং এ ধরনের হামলা হলে দামেস্কের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানো হবে। এর আগেও রাসায়নিক হামলার অজুহাত তুলে সিরিয়ার ওপর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। সংবাদসূত্র : পাসর্ টুডে, আনাদলু, রয়টাসর্, বিবিসি রাসায়নিক হামলার অজুহাতে সিরিয়ার কোন কোন স্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা হামলা চালাতে চায়, তার তালিকা প্রকাশ করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহŸান জানিয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এ আহŸান জানান। তিনি বলেন, সম্ভাব্য বিমান হামলার জন্য পেন্টাগন এরই মধ্যে লক্ষ্যবস্তু ঠিক করেছে বলে যে খবর বের হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের উচিত সম্ভাব্য সেসব লক্ষ্যবস্তুর তালিকা প্রকাশ করা। নেবেনজিয়া বলেন, যদি আপনারা বিশ্বাস করেন, ওইসব লক্ষ্যবস্তু রাসায়নিক অস্ত্রের গুদাম, তাহলে আপনারা আন্তজাির্তক আইনের প্রতি কিছু সম্মান দেখান এবং রাসায়নিক অস্ত্রের গুদাম সম্পকির্ত তথ্য রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা বা ওপিসিডাবিøউকে জানান। রুশ সমথির্ত বাহিনী যদি ইদলিবে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে ‘দ্রæত ও ব্যাপক মাত্রায়’ জবাব দেয়ার হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ২০১৭ ও ২০১৮ সালে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক ঘঁাটিতে হামলা চালিয়েছিল। রুশ সমথির্ত সিরীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় সারিন গ্যাস ও ক্লোরিনকে রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বারবার। আর বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে সিরিয়া। সিরিয়ার ইদলিব টিকে থাকা বিদ্রোহীদের সবের্শষ শক্তিশালী অবস্থান। রাশিয়া ও বাশার বাহিনী শুক্রবার সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে, যা পূণর্ হামলার আগে করা হয়ে থাকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান মনে করেন, ইদলিবের হামলা ‘নিবির্চার হত্যার দিকে’ মোড় নিতে পারে। জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, ইদলিবে হামলা হলে তা চরম মানবিক বিপযর্য় ডেকে আনবে। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ইদলিবের জনসংখ্যা ২৯ লাখ। এর মধ্যে ১০ লাখই শিশু। তাই সেখানে বেপরোয়া হামলায় প্রাণহানি নিয়ে উদ্বেগ আছে। এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শক্রিবার তেহরানে বৈঠকে বসেছিলেন। অস্ত্রবিরতি চুক্তি বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্য নিয়ে বৈঠক ডাকা হলেও পুতিন ও রুহানি এর বিরুদ্ধে যান। পুতিনের ভাষ্য, ইসলামিক স্টেট ও জাভাত আল-নুসরার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো তো আর এই অস্ত্র বিরতির চুক্তি মেনে চলবে না। আর রুহানি বলেন, সিরিয়াকে অবশ্যই তার ভ‚খÐের ওপর পূণর্ কতৃর্ত্ব নিতে হবে। পরে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, সামরিকভাবে এ যুদ্ধের সমাধান হবে না। রাজনৈতিক পথেই এগোতে হবে।