যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন

আগাম ভোটের হিড়িকে ভাঙছে রেকর্ড

ভোট দেওয়ায় এগিয়ে নারী ও কৃষ্ণাঙ্গরা

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারের সারি
আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগেই ভোট দেওয়ার হিড়িক পড়েছে দেশটিতে। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার পর্যন্ত রেকর্ড দুই কোটি ২০ লাখ মার্কিনি আগাম ভোট দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনের বরাতে শনিবার এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি ২০১৬ সালে নির্বাচনের ঠিক এই সময়ে আগাম ভোট পড়েছিল প্রায় ৬০ লাখ। এ বছর আরও বেশি ভোটার ভোট দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে এবার আগাম ভোট বা ডাকযোগে ভোট বাড়বে, সেই আভাস অবশ্য আগেই দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন সাময়িকী 'ফোর্বস' জানিয়েছে, এবার যে আগাম ভোট পড়েছে, তা ২০১৬ সালে মোট ভোটের প্রায় ১৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে অনেকেই নির্বাচনের দিনের চেয়ে বিকল্প কোনো দিনে ভোট দেওয়ার কাজটি সেরে ফেলতে চাইছেন। এ কারণেই এবার আগাম ভোট রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগাম ভোট শুরুর প্রথম দিন গত মঙ্গলবার রেকর্ড সর্বোচ্চ আগাম ভোট পড়ে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। অথচ কারা ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন, এই বিচারে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশ কড়াকড়ি রয়েছে সেখানে। রেকর্ড সর্বোচ্চ এক লাখ ২৬ হাজার ৮৭৬টি আগাম ভোট পড়েছে জর্জিয়ায়। এদিকে, এবারের নির্বাচনে বেশ গুরত্বপূর্ণ রাজ্য ওহিওতে ২৩ লাখ ভোটার ডাকযোগে ভোট দেওয়ার জন্য রাজ্যটির নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের কাছে আগাম ব্যালটের জন্য আবেদন করেছেন; যা ২০১৬ সালের নির্বাচনের তুলনায় দ্বিগুণ। ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরা আগাম ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে আছেন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্রেট সমর্থকরা দ্বিগুণ আগাম ভোট দিয়েছেন। আর ডেমোক্রেটদের মধ্যে আগাম ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নারী ও কৃষ্ণাঙ্গরা। তবে আগাম ভোট বেশি পাওয়া মানেই ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হচ্ছেন, এমনটা ভাবার কারণ নেই। ডাক ভোটের বিরোধিতা করা রিপাবলিকানরা বলছেন, আগাম ভোটে হয়তো ডেমোক্রেটরা জয়ী হতে পারেন। কিন্তু নির্বাচনের দিনে বিপুল সংখ্যায় ভোট দেবেন তাদের সমর্থকরা। এবারের নির্বাচনের প্রচারের শুরু থেকেই ডাক ভোট নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা ও সন্দেহ তৈরি করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেছেন, ডাকযোগে ভোটের কারণে ব্যাপক কারচুপি হতে পারে। যদিও এ ধরনের অভিযোগের কোনো সত্যতা এখনো পাওয়া যায়নি। 'ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিস'র জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ভোট কারচুপির হার ০.০০০০৪ থেকে ০.০০০৯ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া দেশটির তরুণরা ঐতিহ্যগতভাবে কম সংখ্যায় ভোট দিলেও এ বছর উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক তরুণ ভোট দিচ্ছেন। এক যুগ আগে ২০০৮ সালে বারাক ওবামা প্রথমবার জয়ী হওয়ার সময়ের চেয়েও এবার তরুণদের ভোট সর্বোচ্চ পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।