সিনেট কমিটির অনুমোদন

চূড়ান্ত মনোনয়নের পথে ব্যারেট

রিপাবলিকানরা সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ব্যারেটের অনুমোদন প্রায় নিশ্চিত

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
অ্যামি কোনি ব্যারেট
আগামী ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতি পদে চূড়ান্ত মনোনয়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত অ্যামি কোনি ব্যারেট। ডেমোক্রেটদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও তাকে অনুমোদন দিতে বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে ভোটের আয়োজন করেছিল সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটি। নাখোশ ডেমোক্রেটরা ভোট বয়কট করায় সিনেট কমিটিতে সর্বসম্মতভাবে ভোট (১২-০) দিয়েছেন রিপাবলিকানরা। সংবাদসূত্র : সিএনএন, আল-জাজিরা বিচারপতি পদে ব্যারেটের নিয়োগ অনুমোদন করতে আগামী সোমবার সিনেট অধিবেশনে বসবে। ওইদিন সিনেটে ব্যারেটের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমে বিতর্ক এবং তারপর ভোট অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে। সিনেটে ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় ব্যারেটের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া একরকম নিশ্চিত। গত ১৮ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ বিচারপতি রুথ বেডার গিন্সবার্গের মৃতু্যর এক সপ্তাহ পর নতুন বিচারপতি হিসেবে রক্ষণশীল বিচারক ব্যারেটকে মনোনয়ন দেন ট্রাম্প। তার নিয়োগ মার্কিন সিনেটের ভোটে নিশ্চিত হলে তিনিই প্রয়াত বিচারপতি গিন্সবার্গের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এই ভোটাভুটির আগে সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটি কয়েকদিনের শুনানি অনুষ্ঠানের পর ভোটে ব্যারেটের মনোনয়ন অনুমোদন করল। ফেডারেল আপিল কোর্টের রক্ষণশীল বিচারক অ্যামি কোনি ব্যারেট ধর্মীয় রক্ষণশীলদের কাছে পছন্দনীয় ব্যক্তিত্ব। ২০১৭ সালে ট্রাম্প শিকাগো-ভিত্তিক সপ্তম ইউএস সার্কিট আপিল কোর্টে ব্যারেটকে নিয়োগ করেছিলেন। তার নিয়োগ নিশ্চিত হলে ব্যারেট হবেন সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিয়োগ করা তৃতীয় বিচারপতি। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীল বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াবে ৬-৩ এ। এমনটা হলে আগামী কয়েক দশকের জন্য সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেদের অনুকূলে থাকার সুবিধা পেয়ে যাবেন রিপাবলিকানরা। ফলে ডেমোক্রেটসহ বিভিন্ন নাগরিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের উদারনৈতিক গোষ্ঠীগুলো ব্যারেটের এ নিয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এর আগে নিজের মনোনীত হিসেবে বিচারক ব্যারেটের নাম ঘোষণা করে তাকে 'সংবিধানের প্রতি দৃঢ়ভাবে অনুগত বড় মাপের বিদ্বান ও বিচারক' বলে অভিহিত করেছিলেন ট্রাম্প। এছাড়া ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগেই নতুন বিচারপতির নিয়োগ নিশ্চিত করতে সিনেটের প্রতিও সে সময় আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, সে সময় ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন 'যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেসকে নির্বাচিত না করা পর্যন্ত এই শূন্য পদ (সুপ্রিম কোর্টের) নিয়ে পদক্ষেপ' না নেওয়ার জন্য সিনেটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। উলেস্নখ্য, গত ১৮ সেপ্টম্বরে ওয়াশিংটন ডিসিতে মৃতু্য হয় বিচারপতি গিন্সবার্গের। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ বিচারপতি ছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোটে নিয়োগ পাওয়া দ্বিতীয় নারী বিচারপতিও ছিলেন গিন্সবার্গ। তার মৃতু্যতে সর্বোচ্চ আদালতের খালি হওয়া বিচারপতির আসন পূরণ নিয়ে ডেমোক্রেট আর রিপাবলিকানদের রাজনৈতিক বিরোধ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প তড়িঘড়ি এ পদ পূরণ করতে চাইছেন আর ডেমোক্রেটরা এ প্রক্রিয়া পেছাতে চান। গিন্সবার্গের উত্তরসূরি নিয়োগে ট্রাম্পের তাড়াহুড়োয় শঙ্কিত ডেমোক্রেটরা। তাদের আশঙ্কা, রিপাবলিকানরা এমন একজনকে মনোনয়ন দেবেন, যার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠতা কয়েক দশকের জন্য নিশ্চিত করে ফেলবেন।