বিধানসভা নির্বাচন

বিহারে প্রচারে মোদি-রাহুল

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের প্রধান দুই দলের দুই শীর্ষনেতা বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছেন। ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী শুক্রবার প্রথমবারের মতো অংশ নিলেন ভোটের প্রচারে। অঞ্চলটির সাসারামে প্রথম সভাতেই আরজেডি-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে সরব হন মোদি। এদিকে, নয়ডায় রাহুলও তোপ দেগে বলেন, এনডিএ জোটের শাসনে বিহারের কোনো উন্নয়ন হয়নি। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ এদিন সাসারামের জনসভায় মোদি বলেন, 'নীতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে অপরাধ এবং দুর্নীতির কেন্দ্র ছিল বিহার।' রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলাতেও নীতিশ সরকার সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। মোদি বলেন, 'তিনি না থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো।' জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রসঙ্গে বিরোধীদের নিশানা করে মোদি বলেন, 'সবাই অপেক্ষায় ছিলেন, কবে ৩৭০ ধারা উঠবে। কিন্তু কেউ কেউ বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ওই ধারা আবার ফিরিয়ে আনা হবে। তারা এখন বিহারে ভোট চাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না।' সাসারামের পাশাপাশি এদিন ভাগলপুর এবং গয়ার ডেহরিতেও সভা করেন মোদি। প্রতিটি সভায় দেওয়া তার বক্তব্য বড় স্ক্রিনে দেখানো হয়। ডেহরি এবং ভাগলপুরের সভায় রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী নীতিশও হাজির ছিলেন। এদিকে, বিহার বিজেপি জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার রাজ্যে মাত্র ১২টি সভা করবেন মোদি। আর সেই সভাগুলোতে তার বক্তৃতা ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজ্যের ২৪৩টি কেন্দ্রের ভোটদাতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এর জন্য দলের তরফে এলসিডি প্যানেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল এদিন নয়ডার হিসুয়ার পাশাপাশি ভাগলপুরের কহালগাঁওয়ে 'মহাগঠবন্ধন'-প্রার্থীদের সমর্থনেও প্রচারে নামেন। আরজেডি নেতা তথা জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব এবং বিহার ভোটের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি পর্যবেক্ষক শক্তিসিন গোহিল ছিলেন তার সঙ্গে। হিসুয়ার সভায় রাহুল বলেন, 'বিহারের গরিব মানুষের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নজর নেই। তার চিন্তা শুধু আম্বানি-আদভানিদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির দিকে।' ওই সভায় তেজস্বী বলেন, 'করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ১৪৪ দিন ধরে তার সরকারি বাংলো ছেড়ে বেরোননি। এখনো করোনা আছে। কিন্তু ভোট চলে আসায় তিনি বেরিয়ে পড়েছেন।' ভোটের আবহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে পাটনায় প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর সদাকত আশ্রমের সামনে একটি গাড়িতে হানা দিয়ে আয়কর দপ্তর কয়েক লাখ রুপি উদ্ধার করে। সে সময় দপ্তরে উপস্থিত শক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। শক্তি এদিন বলেন, 'আমাদের অর্থ ছড়িয়ে ভোট কেনার সামর্থ্য নেই। পরাজয় অবশ্যম্ভাবী বুঝেই চক্রান্ত শুরু করেছে বিজেপি।'