নাগারনো-কারাবাখ বিবাদ

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে আবারও যুদ্ধ শুরু

প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিতর্কিত অঞ্চল নাগারনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে আবারও যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সংঘর্ষের জন্য উভয়পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করেছে। বেসামরিক স্থাপনায় শনিবার গোলার্ষণের জন্য আজেরি বাহিনীকে দায়ী করেছে আর্মেনিয়া। আজারবাইজান অবশ্য বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, আর্মেনিয়া যুদ্ধের ময়দান থেকে সরে গেলে তারা যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে প্রস্তুত। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা নাগারনো-কারাবাখের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে আসকেরান ও মার্তুনি এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে আজেরি বাহিনী। তবে বাকু জানিয়েছে, মর্টার, ট্যাংক ও ক্ষুদ্র অস্ত্র নিয়ে তাদের অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছিল। শুক্রবার প্রতিবেশী এই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বৈঠকের একদিন পরই নতুন করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নাগারনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের। রাশিয়ার প্রচেষ্টায় দুই দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও প্রত্যেকবারই তা লঙ্ঘিত হয়েছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম অলিয়েভ বলেছেন, 'আমি শান্তিচুক্তি কার্যকরে পুরোপুরি আস্থাশীল। তবে এটি আর্মেনিয়ার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।' আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল আজারবাইজান এদিকে, আর্মেনিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে শনিবার দাবি করছে আজারবাইজান। এছাড়া সম্ভাব্য যেকোনো ক্ষতি এড়াতে সামরিক স্থাপনাগুলো থেকে নিকটবর্তী জনবসতিগুলোর সাধারণ নাগরিককে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এক বিবৃতিতে আজেরির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, 'শনিবার আজারবাইজানের বিমান বাহিনী আগদেরে ও আঘদাম অঞ্চলে আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি ট্যাংক, দুটি আশ্রয়কেন্দ্র এবং চারটি দুর্গ ধ্বংস করেছে।' তবে এ বিষয়ে আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পৃথক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, 'সায়ুনিক-জাঙ্গিলান সড়কে আর্মেনিয়ান বাহিনীর আক্রমণকে প্রতিহত করেছে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী। আমাদের সেনা ইউনিটগুলোর তীব্র প্রতিরোধের মুখে শত্রম্নরা (আর্মেনিয়ার বাহিনী) পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।' এ সময় আর্মেনিয়ান বাহিনীর অনেককে বন্দি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে যুদ্ধবন্দি ও বেসামরিক নাগরিকদের সমস্ত অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে যারা তৃতীয় কোনো দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, যুদ্ধবিমানের বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি আজারবাইজান। তারা কেবল জানিয়েছে, আজারবাইজানের সীমান্তের ওপর দিয়ে গুবাদলির দিকে আর্মেনিয়ার একটি যুদ্ধবিমান যাচ্ছিল। সে সময় বিমানটিকে ভূপাতিত করে আজারবাইজান। একই দিনে আঘধেরে অঞ্চলে আর্মেনিয়ার একটি ড্রোনও ধ্বংস করে আজারবাইজান। এ বিষয়েও আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। বিতর্কিত নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান। সংঘর্ষে দুই দেশেরই এখন পর্যন্ত অনেক সামরিক ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।