আফগানিস্তানে আল-কায়েদার নেতা আল-মাসরি নিহত

প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আবু মুহসিন আল-মাসরি
আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে নিহত হয়েছেন আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতা আবু মুহসিন আল-মাসরি। তিনি আল-কায়েদার 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড' ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত বু্যরোর (এফবিআই) 'মোস্ট ওয়ান্টেড' সন্ত্রাসী তালিকায় ছিলেন তিনি। সংবাদসূত্র : আল-জাজিরা, এএফপি আল-মাসরি মিসরের নাগরিক। আফগানিস্তানের 'ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি' (এনডিএস) শনিবার শেষরাতে এক টুইট বার্তায় জানায়, মধ্য গজনি প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে নিহত হয়েছেন আল-মাসরি। অর্থ ও সরঞ্জাম দিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা এবং মার্কিন নাগরিকদের হত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে 'হুশাম আবদ-আল-রাউফ' নামেও পরিচিতি ছিলেন আল-মাসরি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর তাকে হত্যার জন নানা অভিযান চলছিল। যুক্তরাষ্ট্রের 'ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার'র প্রধান ক্রিস মিলার এক বিবৃতিতে আল-মাসরি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তার অপসারণ সন্ত্রাসী সংগঠনটির জন্য বড় ধরনের বিপর্যয়। এই সংগঠনটি ক্রমাগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার অংশীদারদের কৌশলগত ক্ষতি করছিল।' গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, দুইশো'র কম আল-কায়েদা সদস্য এখনো আফগানিস্তানে রয়েছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৮ জন নিহত হওয়ার দিনই আল-মাসরির নিহত হওয়ার কথা ঘোষণা করা হলো। ওই হামলায় আরও ৫৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সময় বিকালে একটি বেসরকারি উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্রের সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ঘটানো হয় বলে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। শিয়াপ্রধান দাস্ত-ই-বার্চি এলাকার কাওসার-ই-দানিশ শিক্ষাকেন্দ্রে সচরাচর কয়েকশ শিক্ষার্থী অবস্থান করে। হতাহতদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী এবং তারা সবাই প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় ছিলেন।