বিমান হামলা চালাবে জামাির্ন

সিরিয়ার ইদলিবে নতুন অভিযানে ৩০ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সিরিয়ার সরকারি ও মিত্র বাহিনীগুলো নতুন করে অভিযান শুরুর পর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশ থেকে ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দা পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সরকারি পক্ষ গত সপ্তাহে বিমান হামলা ও গোলাবষর্ণ শুরু করার পর থেকে ইদলিবের এসব বাসিন্দারা পালাতে শুরু করে। সংবাদসূত্র : রয়টাসর্, এএফপি অনলাইন, তাস দেশটির বিদ্রোহীদের শেষ বড় ঘঁাটি ইদলিব পুনরুদ্ধারে সবার্ত্মক সামরিক অভিযান শুরু করেছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সরকারি ও মিত্র বাহিনীগুলো। এই অভিযানের মুখে ইদলিব থেকে আট লাখ বেসামরিক বাসিন্দা পালিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ)। এতে একুশ শতকের সবচেয়ে শোচনীয় মানবিক বিপযের্য়র ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে সতকর্ করেছেন ওসিএইচএ-র প্রধান মাকর্ লোকক। ওসিএইচএ-র মুখপাত্র ডেভিড সোয়ানসন জানিয়েছেন, রোববার পযর্ন্ত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ৩০ হাজার ৫৪২ জন বাস্তুচ্যুত হয়ে ইদলিবের অন্যান্য এলাকায় চলে গেছে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব ও সংলগ্ন লাতাকিয়া, হামা ও আলেপ্পো প্রদেশের ছোট কয়েকটি অংশে প্রায় ২৯ লাখ মানুষের বাস। এদের অধের্কই সিরিয়ার অন্যান্য অংশ থেকে বাস্তুচ্যত হয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। ইদলিবে অস্ত্রবিরতি করা নিয়ে শুক্রবার তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টদের এক বৈঠক ব্যথর্ হয়। এরপর সিরিয়া ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো ফের প্রদেশটিতে বিমান হামলা শুরু করে। মঙ্গলবার রাশিয়া বলেছে, ইদলিবে বেছে বেছে মাকির্ন সমথির্ত বিদ্রোহীদের হত্যা করবে রুশ বাহিনী। সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাবে জামাির্ন এদিকে, সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাতে মিত্রদের সঙ্গে কথা বলছে জামাির্ন। সোমবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কতৃর্পক্ষ জানায়, সিরিয়ায় চলমান সংকট উত্তোরণে বিমান হামলায় অংশ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জামাির্নর। তবে এ পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা করেছে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক (এসপিডি)। জামার্ন সরকারের মুখপাত্র স্টিফেন সেইব্রেত বলেন, সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর রাসায়নিক হামলা বন্ধে আমেরিকা ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সামরিক হামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সরকার অবশ্যই পালাের্মন্টে যাবে বলে জানান এ কমর্কতার্। সামরিক বিষয়ক সংসদীয় কমর্কতার্ হ্যান্স পিটার বাটের্লস বলেন, যদি জাতিসংঘ, ন্যাটো কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমথর্ন না থাকে, তাহলে সামরিক হামলায় অংশ নেয়া হবে সংবিধানবিরোধী। আর এসপিডি বলেছে, পালাের্মন্ট কোনোভাবেই সামরিক হামলায় সমথর্ন দেবে না। কারণ, অতীতের নাৎসি বাহিনির বীভৎসতায় জামাির্নর সামরিক হামলা খুবই অগ্রহণযোগ্য হবে। উল্লেখ্য, জামাির্ন সিরিয়ায় বিমান হামলা চালালে তা হবে সরাসারি রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতে জড়ানো। কারণ, সেখানে বাশার আল-আসাদ বাহিনীকে পুণর্ সমথর্ন দিচ্ছে রুশ বাহিনী।