নেতানিয়াহু-সালমান বৈঠক ঘিরে দুনিয়া তোলপাড়

সৌদি আরবের অস্বীকার

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুবরাজ সালমান
তাদের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ফিলিস্তিন প্রশ্নে ইসরাইলের ঘোরবিরোধী সৌদি আরব। তা সত্ত্বেও কি ইসরাইলের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করল সৌদি প্রশাসন? এই প্রশ্নেই তোলপাড় দুনিয়া। কারণ, ইসরাইলের শিক্ষামন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রোববার দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সৌদি আরবে গিয়েছিলেন এবং সেখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তার পাশাপাশি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গেও বৈঠক করেছেন এবং সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সৌদি আরব অবশ্য এ কথা অস্বীকার করেছে। সংবাদসূত্র : ডয়চে ভেলে, এপি, রয়টার্স সোমবার হঠাৎ করেই ইসরাইলের শিক্ষামন্ত্রী ইউয়াভ গালান্ট গণমাধ্যমে জানান, রোববার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। সেখানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে তার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে আরব আমিরাত এবং বাহারাইনের। যা নিয়ে মুসলমান বিশ্বে আলোড়ন পড়ে গেছে। ফিলিস্তিন এর কড়া সমালোচনা করেছে। তার মধ্যেই সৌদি আরবে নেতানিয়াহুর সফর বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের সম্পর্ক নিয়ে সৌদি আরব সোচ্চার এবং সে কারণেই দেশটির সঙ্গে কোনো রকম কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখে না সৌদি। তা হলে হঠাৎ কেন নেতানিয়াহু সৌদি গেলেন? ইসরাইলের বক্তব্য, রোববার প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে গিয়ে খোদ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন। সৌদি আরব অবশ্য এ কথা মানতে রাজি হয়নি। দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান জানিয়েছেন, ইসরায়েলের দাবি একেবারেই মিথ্যা। সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু সেখানে ইসরাইল ছিল না। ওদিকে, নেতানিয়াহুও বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।