ঘরের বাইরে আগুন জ্বালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি

সিডনিতে সবচেয়ে উষ্ণ রাতের নতুন রেকর্ড

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গরমে সমুদ্র তীরে খেলাধুলা করছেন স্থানীয়রা
পাঁচ দশকের বেশি সময় আগেকার রেকর্ড ভেঙে নভেম্বরে নিজেদের সবচেয়ে উষ্ণ রাতের নতুন রেকর্ড গড়েছে সিডনি। অস্ট্রেলিয়ার এ শহরটিতে আগামী কয়েকদিনে দিনের বেলা তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও স্পর্শ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত শনিবার রাতে শহরটির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ২৫ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। সংবাদসূত্র : বিবিসি এ পরিস্থিতিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের দমকল বিভাগ রাজ্যের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের বেশিরভাগ অঞ্চলে ঘরের বাইরে আগুন জ্বালানো বা আগুন ধরে ছড়িয়ে পড়তে পারার আশঙ্কা রয়েছে, এমন কর্মকান্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিউ সাউথ ওয়েলস ছাড়াও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও ভিক্টোরিয়াসহ অস্ট্রেলিয়ার অনেক অঞ্চলেরই তাপমাত্রা বেশ চড়া। সিডনিতে সবচেয়ে উষ্ণ রাত রেকর্ড হয়েছে সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্টের অবজারভেটরি হিলে। রোববার ভোরের আগে সাড়ে ৪টার মধ্যেই সেখানকার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যায় বলে 'সিডনি মর্নিং হেরাল্ড'র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। অবজারভেটরি হিলে এর আগে নভেম্বরের সবচেয়ে উষ্ণ রাত রেকর্ড করেছিল ১৯৬৭ সালে; সেবার নূ্যনতম তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিডনি থেকে পাওয়া বেশকিছু ছবিতে গরমের দুর্বিষহ অবস্থা থেকে বাঁচতে অসংখ্য মানুষকে সমুদ্র সৈকতে ভিড় করতে দেখা গেছে। তার মধ্যেও করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মেনে চলতে জনসাধারণকে অনুরোধ করেছে নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য বিভাগ। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া বু্যরো তাদের পূর্বাভাসে নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তর ও কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বের কিছু অংশে পাঁচ বা ছয়দিনের দাবদাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের অনেক অঞ্চলে 'অতি উচ্চ থেকে মারাত্মক অগ্নিকান্ডের আশঙ্কা'র কথা জানিয়ে সতর্কতা জারি করেছে রুরাল ফায়ার সার্ভিস (আরএফএস)। রাজ্যটিতে এখন ঝোপঝাড় ও ঘাসে ৪৫টি ছোটখাটো আগুন জ্বলছে। এর মধ্যে একটি অগ্নিকান্ড সিডনির পশ্চিমের কিছু বাড়ি-ঘরকে হুমকির মুখেও ফেলেছে। এর আগে গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। দেশটিতে সে সময় গড়ে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অতিক্রম করে। যা দেশটির ইতিহাসে আর কখনো হয়নি। প্রচন্ড গরমে সে সময় অস্ট্রেলিয়ায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কবলে পড়ে প্রচুর বন্যপ্রাণী মারা যায়। ৯০টির বেশি শুধু বন্য ঘোড়া মারা যাওয়ার খবরই পাওয়া গিয়েছিল একটি প্রতিবেদনে।