বিজয় মাল্য ইস্যু :অরুণ জেটলিকে একহাত নিলেন রাহুল

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী
ভারতের পলাতক শিল্পপতি বিজয় মাল্য ইস্যুতে কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুলের দাবি, ‘মিথ্যা কথা বলছেন জেটলি। দেশ ছেড়ে পালানোর দুদিন আগে পালাের্মন্টে কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট ধরে কথা বলেছিলেন বিজয় মাল্য। লন্ডন যাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। আর সব কিছু জানার পরও মুখে কুলুপ এঁটে থেকেছিলেন কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী। আসলে বিজয় মাল্য যাতে নিঝর্ঞ্ঝাটে দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন অরুণ জেটলিই।’ সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, এএনআই ২০১৬ সালের ১ পয়লা মাচর্ অরুণ জেটলি এবং বিজয় মাল্যের বৈঠককেই এদিন রাহুল মূল অস্ত্র করেছিলেন। এর ঠিক দুদিন পরই দেশ ছেড়ে পালান বিজয়। রাহুল সংবাদ সম্মেলনে এনেছিলেন জেটলি-মাল্য বৈঠকের প্রত্যক্ষদশীর্ কংগ্রেস নেতা পিএল পুনিয়াকে। পুনিয়া দাবি করেন, ‘২০১৬ সালের ১ মাচর্ বাজেট অধিবেশনের সময় আমি বসে ছিলাম পালাের্মন্টের সেন্ট্রাল হলে। তখনই আমি জেটলি আর মাল্যকে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে বৈঠক করতে দেখি। মাল্য নিজেই জেটলির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।’ এরপরই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল বলেন, ‘পালাের্মন্টের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কতক্ষণ বৈঠক করেছিলেন মাল্য আর জেটলি।’ মাল্য পালাচ্ছেন, তা জানার পরও সিবিআই, ইডি বা অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কিছু না জানিয়ে কেন চুপ করে বসেছিলেন জেটলি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি। কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী অরুণ জেটলির পদত্যাগের পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও করেছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ওই বৈঠকের ঠিক দুদিন পরই ভারতের বিভিন্ন ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে নেয়া ৯ হাজার কোটি রুপি ঋণ শোধ না করেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন বিজয় মাল্য। বুধবার লন্ডনে বিজয় মাল্য দাবি করেছেন, দেশ ছাড়ার আগে অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করে সব কিছু জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই সমালোচনার তিরে বিঁধছেন অরুণ জেটলি। মাল্যের এই দাবির পরই তড়িঘড়ি করে ফেসবুকে অরুণ লেখেন, ‘পালাের্মন্ট কক্ষ থেকে বেরিয়ে আমার ঘরে যাচ্ছিলাম। উনি দ্রæতপায়ে কাছে এসে জানান, পাওনা মেটাতে একটা প্রস্তাব দিতে চান। আমি জানতাম, উনি আগেও এমন ভঁাওতা দিয়েছেন। তাই তাকে স্পষ্ট বলে দেই, আপনি ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলুন। আমার সঙ্গে বলে লাভ হবে না। তারসঙ্গে যেসব নথি ছিল তাও আমি নেইনি।’ জেটলি এই দেখা হওয়ার ঘটনাটিকে ছোট করে দেখাতে চাইলেও কয়েকটি বিষয় তুলে আনছে কংগ্রেস। প্রথমত, মাল্যের পালানোর ঠিক দুদিন আগে এই সাক্ষাৎ। দ্বিতীয়ত, জেটলি ওই সাক্ষাতের কথা এতদিন সামনে আনেননি কেন? তৃতীয়ত, মাল্যের লন্ডন যাওয়ার কথা জেনে থাকলে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে কোনো ব্যবস্থা নিতে বলেননি কেন? কংগ্রেসে আক্রমণের মুখে অবশ্য থেমে থাকেনি বিজেপিও। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ টুইট করে বলেন, কংগ্রেস অযথা পুরো বিষয়টি নিয়ে ‘জলঘোলা’ করছে। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধী লন্ডন থেকে ঘুরে আসার পরই বিজয় মাল্য এই বক্তব্য সামনে আনলেন কেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।