ফিলিস্তিনি বেদুইন গ্রাম গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল

জ্বালানির অভাবে বন্ধ হচ্ছে গাজার হাসপাতাল

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গাজার হাসপাতালে এক ফিলিস্তিনি শিশু
ইসরাইলের অব্যাহত অবরোধ এবং মাকির্ন অথর্ সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়ার কারণে গাজার হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা এলাকায় অবস্থিত ‘আবু ইউসুফ আল-নাজর হাসপাতাল’ জ্বালানি তেলের অভাবে ৯ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিকে, অবৈধ বসতি গড়ার লক্ষ্যে ইসরাইলি সেনারা বৃহস্পতিবার একটি বেদুইন গ্রামে অভিযান চালিয়েছে। সেখান থেকে তাদের উচ্ছেদ করতেই এই অভিযান চালানো হয়। সংবাদসূত্র : আল-জাজিরা গাজায় হাসপাতাল বন্ধ হওয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গাজায় তীব্র জ্বলানি সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেল দিয়ে হাসপাতালটির জেনারেটর চালিয়ে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। গত বুধবার গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেলে দুই লাখ ৫০ হাজার গাজাবাসী অমানবিক পরিস্থিতির শিকার হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি চিকিৎসা নিয়ে থাকে। এছাড়া কিডনির মতো জটিল রোগের চিকিৎসা নেয়ার জন্যও অনেক ব্যক্তি হাসপাতালটিতে নিয়মিত আসে।’ উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। সেখানে সরকার পরিচালিত ১৩টি হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে ৫৪টি। সমুদ্র তীরবতীর্ গাজায় গত ১১ বছর ধরে ইসরাইলের সবার্ত্মক অবরোধ চলছে। এছাড়া বিদেশি সাহায্যের মধ্যে বড় অঙ্কের অথর্ সহযোগিতা আসত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। কিন্তু দেশটি সম্প্রতি ফিলিস্তিনে সব রকম অথর্ সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে, ফিলিস্তিনি বেদুইনদের গ্রাম খান আল-আহমারে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এই অভিযানে গ্রামটির পঁাচটি তঁাবু গুঁড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের একটি ক্যাম্প খালি করে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, খান আল-আহমার গ্রামটি জেরুজালেমের বড় দুই অবৈধ বসতি মালে আদুমিম ও কাফফার আদুমিম-এর কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। ওই দুটি বসতিই সম্প্রসারণ করতে চাইছে ইসরাইল সরকার। গত ৬ সেপ্টেম্বর সেখানকার বাসিন্দাদের জোর করে সরিয়ে দিতে সেনাবাহিনীকে সবুজ সংকেত দেয় ইসরাইলের আদালত। অনুমতি ছাড়া নিমার্ণ হয়েছে, দাবি করে এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামটি খালি করে ফেলার নিদের্শ দিয়েছে আদালত।