নতুন গবেষণায় দাবি নাগালের মধ্যেই থাকছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাতিসংঘের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যপূরণ নাগালের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে এক নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত জলবায়ু সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তিতে ২১০০ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। 'ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার' নামের একটি সংস্থা বলছে, চলতি শতাব্দী শেষ হওয়ার আগে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা যাবে। সংবাদসূত্র : বিবিসি এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকারের গবেষকরা দেশগুলোর সম্মিলিত কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছেন। জলবায়ু নিয়ে ২০০৯ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ব্যর্থ বৈঠকের পর ট্র্যাকার গ্রম্নপ হিসাব করে দেখে, এই শতাব্দী শেষ হওয়ার আগে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে চলতি বছর সেপ্টেম্বরে তারা জানান, শতাব্দী শেষে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ২.৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। ২০১৫ সালে সম্পাদিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বিবেচনাযোগ্য ইতিবাচক প্রভাবের পথ উন্মোচন করে। আন্তর্জাতিক ওই চুক্তির ফলে বিভিন্ন দেশ ধীরে ধীরে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার থেকে সরে আসছে। ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার মনে করছে, সে কারণেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতি কমেছে। ২১০০ সালে তা দুই দশমিক এক ছাড়িয়ে যাবে না। ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে গেলেও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার আগেই জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউস তার দখলে এলে তিনি আবার প্যারিস চুক্তিতে প্রত্যাবর্তন করবেন। চীনসহ অন্যান্য দেশের ইতিবাচক ভূমিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বাইডেনের কার্বন পরিকল্পনার অঙ্গীকারকে সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে 'ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার'। অবশ্য কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কমাতে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি আশাবাদের মিল নেই বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৯ সালের মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়ন শহরে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে জাতিসংঘের 'দি ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জ'র (আইপিসিসি) সম্মেলনে তাপমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। আইপিসিসির সহ-সভাপতি অধ্যাপক জিম স্কেয়া সে সময় বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির চেয়ে এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে পারলে ব্যাপক উপকার পাওয়া যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব কমাতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শক্তি ব্যবস্থা, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও যোগাযোগব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটানো যাবে।