নতুন সরকার ক্ষমতায় আসলে চীন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি কী হবে, তা নিয়ে বেশ গুঞ্জন চলছিল গণমাধ্যমে। তবে শেষ পর্যন্ত চীন বিষয়ে মন্তব্য করে সেই গুঞ্জন ওড়ালেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, 'চলতি বছরের শুরুতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া প্রথম ধাপের বাণিজ্যচুক্তি বাতিল হবে না, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলোও আপাতত তুলে নেয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।' সংবাদসূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস
জনপ্রিয় কলামিস্ট থমাস ফ্রায়েডম্যানের সঙ্গে আলাপকালে জো বাইডেনের কাছে নতুন প্রশাসনের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে বাইডেন বলেন, 'অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কংগ্রেসে একটি উদার প্রণোদনা প্যাকেজ পাস করানোই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি, ক্ষমতায় বসার আগেই এটি পেতে আগ্রহী তিনি।'
চলতি সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, বেইজিংয়ের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন যেন আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়, তেমন ব্যবস্থা করে রেখে যেতে চান বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করতে পারে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট।
তবে জো বাইডেন বলেছেন, 'আমি তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেব না। সেটা শুল্কের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমি কৌশলগুলো সংস্কারে যাব না।' তবে চীনের 'বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি চুরি, প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবৈধ ভর্তুকি, মার্কিন প্রতিষ্ঠান থেকে চীনা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি স্থানান্তরে বাধ্য করার মতো আপত্তিকর কর্মকান্ডের' বিরুদ্ধে ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে আরও ভালোভাবে লড়তে গবেষণা, উন্নয়ন, অবকাঠামো ও শিক্ষা খাতে সরকারি বিনিয়োগে নজর এবং দেশের ভেতর দ্বিপক্ষীয় ঐকমত্য আবশ্যক বলেও মন্তব্য করেন জো বাইডেন। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা 'আমেরিকা প্রথম' নীতি নিয়ে কঠিনভাবে লড়ব।
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd