হরিয়ানায় রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রীকে গণধষর্ণ

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে মাধ্যমিক পযাের্য় কেন্দ্রীয় বোডের্ শীষর্ স্থানধারী এবং রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এক ছাত্রী গণধষের্ণর শিকার হয়েছেন। ১৯ বছরের ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধষর্ণ করে এক দল যুবক। পরে অচেতন অবস্থায় একটি বাসস্ট্যান্ডের সামনে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় দুবৃর্ত্তরা। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এএনআই ভুক্তভোগী শিক্ষাথীর্র পরিবারের বরাত দিয়ে ভারতের গণমাধ্যম জানায়, কলেজের দ্বিতীয় বষের্র এই ছাত্রী রিওয়ারিতে তার গ্রামের কাছেই একটি কোচিং সেন্টার থেকে ফিরছিলেন। সে সময় তিন যুবক একটি গাড়িতে করে এসে দঁাড়ায় এবং ছাত্রীটিকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানেই গণধষর্ণ করা হয় তাকে। তিন যুবক যখন ছাত্রীটিকে ক্ষেতে টেনে নিয়ে যায়, তখন সেখানে উপস্থিত অন্য পুরুষরাও তাকে ধষর্ণ করে। অভিযোগকারীর দাবি, ধষর্করা সবাই তার গ্রামের। এদিকে, ধষের্ণর শিকার ওই তরুণীর মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাদের অভিযোগে প্রথমে খুব একটা আমল দেয়নি স্থানীয় থানা। কেবল একটা এফআইআর নিয়েই দায় সেরেছে তারা। বরং অভিযোগ দায়ের করতে ছাত্রীর পরিবারের লোকদের এক থানা থেকে অন্য থানায় ছুটে বেড়াতে হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে সিবিএসইতে শীষর্স্থান অধিকার করেছিল। স্বয়ং মোদিজির হাত থেকেও পুরস্কার নিয়েছে। মোদিজি বলেন, বেটি পড়াও, বেটি বঁাচাও। কিন্তু, তা আর কীভাবে সম্ভব? আমি বিচার চাই, পুলিশ এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’ এক পুলিশ অফিসারের দাবি, এই ঘটনায় ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের করা হয়েছে। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর যখন সেই অভিযোগ অন্য থানায় (অপরাধের এলাকা সংশ্লিষ্ট থানার) দায়ের করা হয়, তখন ‘জিরো এফআইআর’ নথিভুক্ত করা হয়। এই এইআইআর পরবতীর্কালে সঠিক থানায় স্থানান্তর করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ‘জিরো এফআইআর’ এরই মধ্যে নিয়মিত মামলায় পরিণত হয়েছে। যে থানার অধীন এলাকায় অপরাধটি ঘটেছে, সেখানেই অফআইআরটি স্থানান্তর করা হয়ে গেছে।