বন্যার পর এবার খরার গ্রাসে কেরালা

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কেরালায় ভয়াবহ বন্যা Ñফাইল ছবি
আবহওয়ার এমন খামখেয়ালিপনা ভারতের কেরালা রাজ্য আগে কখনো দেখেনি। এক মাস আগেও পানির নিচে চলে গিয়েছিল গোটা রাজ্য। কিন্তু এক মাস পর খরা পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজ্যের একাংশে। দিন দিন বাড়ছে পারদ। গরমে হঁাসফঁাস করছে মানুষ। বোঝাই দায়, কয়েক সপ্তাহ আগে ভয়াবহ বিপযের্য়র মধ্য দিয়ে গেছে ‘ভগবানের দেশ’। কিন্তু এখন পানির স্তর কমতে শুরু করায় আবারও প্রাকৃতিক বিপযের্য়র কিনারায় দঁাড়িয়ে কেরালা। বন্যার পর তছনছ অবস্থা রাজ্যটির। সেই অবস্থা কীভাবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, জানতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন ‘স্টেট কাউন্সিল ফর সায়েন্স’কে (টেকনোলজি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট) নিদের্শ দেন সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার। মুখ্যমন্ত্রীর নিদের্শ পেয়ে জরিপ কাজ শুরু করে স্টেট কাউন্সিল ফর সায়েন্স। সেই জরিপেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভয়াবহ বন্যার পর রাজ্যের সব নদীগুলো টইটম্বুর অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু এখন পেরিয়ার, পাম্পা, কাবানি নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে কমতে শুরু করেছে। শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে কুয়ার পানি। মাটির নিচের পানির স্তরও নেমে গেছে অনেক দূর। এ ঘটনাগুলো জরিপকারীদের ভাবিয়ে তুলেছে। কেননা, ঘটনাগুলো খুবই অস্বাভাবিক। জরিপে জানা গেছে, বন্যার পর ওয়ানন্দ জেলায় মাটির সব উপাদান পানিতে ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গেছে। এর জেরে মৃত্তিকা গঠনে পরিবতর্ন এসেছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, সেই কারণে মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ পানি টেনে নিচ্ছে। যার পর রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তে খরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কৃষি বিশেষজ্ঞরা। বন্যার পর যে প্রাকৃতিক পরিবতর্ন দেখা দিয়েছে রাজ্যজুড়ে, সেই খবর পেঁৗছেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের কানেও। ফেসবুকে পোস্টে তিনি জানান, পানির স্তর কমতে শুরু করেছে, নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। ভ‚মিক্ষয় হচ্ছে। ‘ওয়াটার রিসোসর্ ম্যানেজমেন্ট’কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এর উত্তর খেঁাজার। এদিকে, কেরালা পুনগর্ঠনের কাজ শুরু হয়েছে বেশ জোরেশোরে। রাজ্যের জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জওহরলাল নেহরু ট্রপিক্যাল বোটানিক গাডের্ন অ্যান্ড রিসাচর্ ইন্সটিটিউট, কেরালা ফরেস্ট রিসাচর্ ইন্সটিটিউট ও মালাবার বোটানিক্যাল গাডের্নকে। রাস্তা ও সেতু পুনগর্ঠনের দায়িত্ব বতেের্ছ ন্যাশনাল ট্রান্সপোটের্শন প্ল্যানিং অ্যান্ড রিসাচর্ সেন্টারকে। সংবাদসূত্র : কে-২৪ নিউজ, ইনডিয়ান এক্সপ্রেসে