চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের ২০০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চীনের পণ্য আমদানির ওপর নতুন করে ২০০ বিলিয়ন (২০ হাজার কোটি) ডলার শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে সহকারীদের নিদের্শ দিয়েছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমর্কতাের্দর বরাত দিয়ে মাকির্ন সংবাদমাধ্যম বøুমবাগর্ নিউজ এই খবর দিয়েছে। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, মাকির্ন প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কমর্কতাের্দর এই নিদের্শ দিয়েছেন। এছাড়া বাতার্ সংস্থা রয়টাসর্ও একই খবর দিয়েছে। রয়টাসের্র সূত্র হিসেবে সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট এক কমর্কতার্র কথা উল্লেখ করলেও তার নাম প্রকাশ করেনি। কবে থেকে এই শুল্ক কাযর্কর হবে তাও পরিষ্কার করা হয়নি। সংবাদসূত্র : বøুমবাগর্, ট্রিবিউন, রয়টাসর্ শুল্ক বাড়ানোর এই খবরের পর মাকির্ন বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট চীনা পণ্যের ওপর ২০০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়ার পর নতুন এই শুল্ক কাযর্কর করা হলো। এছাড়া ওই সময় তিনি কমর্কতাের্দর প্রস্তুত থাকার নিদের্শনা দিয়ে বলেছিলেন, তিনি চাইলেই যেন আরও অতিরিক্ত ২৬৭ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করা যায়। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন ‘চীনের অন্যায্য বাণিজ্যের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত রাখবে। মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তি দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও মেধাস্বত্ব অবৈধভাবে চীনে স্থানান্তর ঠেকাতে শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছিল। এটি মাকির্ন চাকরি বাজারকেও সুরক্ষিত রাখবে।’ এর আগে চলতি সপ্তাহে মাকির্ন শুল্ক দপ্তর চীনের দুই ঊধ্বর্তন কমর্কতাের্ক আলোচনার আমন্ত্রণ জানায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই অথর্নীতির বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয় চীনা কমর্কতাের্দর। এর মধ্যেই শুল্ক কাযর্করের খবর সামনে এলো। চীনের সঙ্গে অন্যায্য বাণিজ্য চলছে বলে প্রায়ই সমালোচনা করেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট নিবার্চনী প্রচারণার সময় তিনি প্রায়ই এই কথা বলেছিলেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পরও তিনি ওই সমালোচনা অব্যাহত রাখেন। গত জুলাইতে প্রথমবারের মতো চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। মাকির্ন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে চীনও। ওই সময় বেইজিং সতকর্ করে দিয়ে বলেছিল, ওয়াশিংটন আরও শুল্ক আরোপ করলে তারাও একই পদক্ষেপ নেবে। বিশ্লেষকরা সতকর্ করে দিয়ে বলেছেন, দুই অথৈর্নতিক পরাশক্তির পূণর্ মাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধ বৈশ্বিক বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে। চলতি বছর বিশ্বের দুই বৃহত্তম অথর্নীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের ৫০ বিলিয়ন (পঁাচ হাজার কোটি) ডলার মূল্যের পণ্যে শুল্ক বসিয়ে ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ সূচনা করে; যার মাধ্যমে দশকের পর দশক ধরে দেশ দুটির মধ্যে যে মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা বহাল ছিল তাতে ছেদ পড়েছে। ওয়াশিংটন আর বেইজিংয়ের এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক দুই দেশের অথর্নীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন খাতের অসংখ্য কোম্পানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলেও ভাষ্য পযের্বক্ষকদের।