মাংখুটে তছনছ ফিলিপাইনের উত্তর উপক‚ল, নিহত ৩

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ফিলিপাইনের উত্তর উপক‚লে শনিবার ভোর রাতে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে শক্তিশালী সুপার টাইফুন ‘ম্যাংখুট’। টাইফুনের কারণে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভ‚মিধসের কবলে পড়ে এ পযর্ন্ত তিন জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও উপক‚লীয় অঞ্চলের ৪০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দেশটির উত্তর-পূবার্ঞ্চলীয় সিগায়ান প্রদেশের তুগৌগ্রেও শহরের একটি মাকেের্ট ম্যাংখুটের আঘাতে তছনছ হয়ে যাওয়া আসবাবপত্রগুলোর মাঝ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা Ñএপি/আউটলুক ইনডিয়া
বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘মাংখুট’র আঘাতে লÐভÐ হয়েছে ফিলিপাইনের উত্তর উপক‚ল। শনিবার আঘাত হানা এই সুপার টাইফুনের কারণে সৃষ্ট ভ‚মিধসে দুই নারীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। কয়েকজন নিখেঁাজও রয়েছেন। তাই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ফিলিপাইনের লুজনের মূল দ্বীপ তছনছের পর ঝড়টি এখন ধীরে ধীরে পশ্চিম দিকে চীনের পথে অগ্রসর হচ্ছে। কমর্কতার্রা বলছেন, টাইফুনের কারণে টুগুয়েগারো শহরের প্রায় সব ভবনেরই কিছু না কিছু ক্ষতি হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। এই সুপার টাইফুনকে চলতি বছর বিশ্বজুড়ে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। সংবাদসূত্র : বিবিসি ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগের বাতাস নিয়ে অগ্রসর হওয়া মাংখুটের পথে ৪০ লাখের বেশি মানুষের বাস। খবরে বলা হয়, মধ্যরাতের পর লুজন দ্বীপে টাইফুন মাংখুটের আঘাতে অনেক গাছপালা ভেঙে পড়ে, বহু ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে যায় এবং অনেক এলাকার বিদ্যুৎব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বাতাসের এই বেগ কোথাও কোথাও আরও বাড়তে পারে বলেও আবহাওয়াবিদরা সতকর্ করেছেন। ২০ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে শঙ্কায় লাখো মানুষকে এরই মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির ঊধ্বর্তন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ ক্রিস পেরেজ সতকর্ করে বলেছিলেন, লুজনের উত্তরাঞ্চলের উপক‚লবতীর্ অঞ্চলে ঝড়ের কারণে সমুদ্রের পানির উচ্চতা তিন থেকে ছয় মিটার পযর্ন্ত বাড়তে পারে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতি সুপার টাইফুন ‘হাইয়ানে’ সাত হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছিল। ঝড়টি ক্রমাগতভাবে পশ্চিম দিকে সরে যাবে বলেও শনিবার সকালে দেয়া পূভার্বাসে ধারণা দেয়া হয়েছে, এটি রোববার বিকালের মধ্যে হংকং অতিক্রম করবে বলে মনে করা হচ্ছে। মাংখুট ধেয়ে আসায় হংকংয়ের কতৃর্পক্ষও বাসিন্দাদের ঘরের ভেতর থাকার পরামশর্ দিয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যেই ঝড়টি দুবর্ল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে ধারণা আবহাওয়াবিদদের। রোববার শেষ বেলায় কিংবা সোমবার ভোরের দিকে এটি চীনে আঘাত হানতে পারে বলেও বলছেন তারা। দেশটির কতৃর্পক্ষ এরই মধ্যে সতকর্তার মাত্রা ‘হলুদ’-এ উন্নীত করেছে। চীনের চার মাত্রার সতকর্তা ব্যবস্থাপনায় এটি দ্বিতীয় সবোর্চ্চ। ঘূণির্ঝড়ের আশঙ্কায় দক্ষিণাঞ্চলের দ্রæতগতির ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও চীনা গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে।