ইরানের তেল রপ্তানি বন্ধে তৎপর যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিশ্ব বাজারে ইরানের একচেটিয়া তেল ব্যবসার আধিপত্য হ্রাস করতে মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের ছোট ছোট সংস্থার সঙ্গে নানা বৈঠক করছে। এরপরও প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ বিশ্ব বাজারে ইরানের তেল বিক্রির পরিমাণ শূন্য কোটায় নামাতে পারবে কিনা দেশটি। সংবাদসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস বিশ্ব বাজারে তেল সরবরাহে শীষের্ ইরান। বিশ্ব বাজারে যদি ইরান তেল আমদানি করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে সেই ঘাটতি কোনো দেশই পূরণ করতে পারবে না। রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ‘ওপেকে’ ইরানের প্রতিনিধি হোসেইন কাজেমপুর আরদাবিলি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর তেল রপ্তানির বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সেটা বাস্তবায়নে সম্পূণর্ ব্যথর্ হবে। বিশ্বের অন্য কোনো তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরানের মতো তেল রপ্তানি করতে পারবে না। মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ মে ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নিদের্শ দেন। পাশাপাশি তিনি দেশটির বিরুদ্ধে অথৈর্নতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সেই সঙ্গে ইরানের তেল রপ্তানির পরিমাণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার নিদের্শও দেন। তার এই ঘোষণার পর ইরান হুমকি দেয়, তারা যদি তেল রপ্তানি করতে না পারে, তবে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেবে। উল্লেখ্য, এই প্রণালি দিয়েই বিশ্ব বাজারে বেশিরভাগ তেল রপ্তানি হয়ে থাকে। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা জারি হতে এখনো দুই মাস দেড়ি আছে। সময় যত এগিয়ে আসছে, বিশ্বে তেলের ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৮০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এত কিছুর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র কিছু পরিমাণ তেল মজুত রেখেছিল। সেই মজুত রাখা তেলের মধ্য থেকে ১০ লাখ ব্যারেল আন্তজাির্তক বাজারের বলে সিদ্ধান্ত নেয়। আন্তজাির্তক জ্বালানি সংস্থা ঘোষণা করে, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই তেল নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব বাজারে বতর্মান পরিস্থিতি কোনোভাবেই ধরে রাখা সম্ভব হবে না। মাকির্ন জ্বালানিমন্ত্রী রিক প্যারি জানান, ‘সৌদি আরব ও কুয়েতের মধ্যে যে সীমান্ত বিরোধ চলছে, সেটা খুব শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে। এরপর এই দুই দেশ তেল উত্তোলনের কাজ শুরু করবে। ফলে বিশ্ব বাজারে আর তেলের ঘাটতি থাকবে না।’ এখন দেখার বিষয় তেল আমদানি করতে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সফল হয়।