টাইফুন মাংখুটের আঘাত এবার চীনে, লন্ডভন্ড হংকং

ফিলিপাইনে নিহত অধর্শতাধিক

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চীনের গুয়াংডংয়ের রাস্তা জনশূন্য
সুপার টাইফুন ‘মাংখুট’ ফিলিপাইন, হংকংয়ের পর আঘাত হেনেছে চীনে। রোববার ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে চীনের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ গুয়াংডংয়ে আছড়ে পড়েছে শক্তিশালী ঝড়টি। এটি দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় শক্তি সঞ্চয় করে চীনা উপক‚লের দিকে এগোতে শুরু করে। এর আগে গুয়াংডং প্রদেশ ও ম্যাকাওতে টাইফুনের আঘাত হানার কথা উল্লেখ করে সতকর্তা হিসেবে হংকংয়ে সবোর্চ্চ ১০ মাত্রার বিপদ সংকেত জারি করে কতৃর্পক্ষ। সকালের পর আঘাত হানা টাইফুনের কারণে লÐভÐ হয়ে গেছে হংকং। উপক‚লীয় এলাকায় বহু গাছ উপড়ে গেছে, আবাসিক ভবন ও অফিসের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। বাতিল করা হয়েছে শত শত ফ্লাইট। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টাসর্ গত শনিবার ফিলিপাইনে আঘাত হানে শক্তিশালী টাইফুন মাংখুট। ঝড়ের কবলে পড়ে এখন পযর্ন্ত ৫০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির কতৃর্পক্ষ। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শনিবার রাতে মাংখুট খানিক দুবর্ল হলেও এটি এখনো তীব্র মাত্রার ঝড় হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। রোববার দুপুরে ঘূণির্ঝড় মাংখুট হংকংয়ে আঘাত হানে। শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে থাকে ঝড়ো বাতাস। প্লাবিত হয়ে পড়ে বিভিন্ন সড়ক। এরপর ঝড়টি চীনের গুয়াংডংয়ে আঘাত হানে। এর আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয় লাখো মানুষকে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, স্থানীয় সময় রোববার দুপুরের পর জিয়াংমেন শহরের কাছের উপক‚লে মাংখুট আঘাত হানে। মাংখুট নিয়ে হংকংয়ের আবহাওয়া কতৃর্পক্ষ আগেই সবোর্চ্চ সতকর্তা জারি করে রেখেছিল। দেয়া হয়েছিল ১০ মাত্রার সতকর্ সংকেত। সাধারণত দুপুরে হংকংয়ের রাস্তাগুলো জনাকীণর্ থাকলেও এদিন আগে থেকেই সব ফঁাকা ছিল। গাড়ি চলাচলও খুব একটা দেখা যায়নি। হংকংয়ের কাউলুনের একটি সুউচ্চ ভবনের বাসিন্দা ইলাইন অং বলেন, ‘এটা অনেক দীঘর্ সময় ছিল, কমপক্ষে দুই ঘণ্টা। এটা আমাকে হতবিহŸল করে ফেলেছিল।’ হংকংয়ের একটি পূবার্ঞ্চলীয় জেলার কোথাও কোথাও পানি ৩ দশমিক ৫ মিটার উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে, পানির ঢেউয়ে তলিয়ে গেছে সড়ক ও কিছু আবাসিক ভবন।