পাল্টাপাল্টি রাজনীতিতে সরগরম পশ্চিমবঙ্গ

প্রকাশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এখন যা চলছে, তা এক কথায় পাল্টাপাল্টির রাজনীতি। বিজেপি কিছু করলে, তৃণমূলও তা করছে। উল্টোটাও সমানভাবে হচ্ছে। সংবাদসূত্র : ডয়চে ভেলে দিন কয়েক আগের কথা। বোলপুরে গিয়ে শান্তিনিকেতন দেখে অমিত শাহ মধ্যাহ্নভোজ সারেন বাসুদেব দাস বাউলের বাড়িতে। সেখানে বাসুদেব দাস তাকে শোনান, 'তোমায় হৃদমাঝারে রাখব ছেড়ে দেব না'। এর পাল্টা বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চেও বাউল গান হলো। সেখানে গাওয়া হলো, 'বারে বারে আর আসা হবে না'। এটা হলো তৃণমূলের পাল্টা। পশ্চিমবঙ্গে এখন চলছে এই পাল্টাপাল্টির রাজনীতি। আজ তৃণমূল যা করছে, কাল বিজেপি সেটাই করছে। আবার বিজেপি যা করছে, তার পাল্টা করছে তৃণমূল। পাল্টাপাল্টির অংশ হিসেবে বাসুদেব বাউলকে নিয়েও টানাটানি চলছে। অমিত শাহ তার বাড়িতে খেয়ে যাওয়ার পর বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল তার মেয়েকে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন। অমিত শাহ বোলপুরে 'রোড শো' করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও করবেন আগামী ২৯ ডিসেম্বর। সেখানেও বাসুদেব বাউলের থাকার কথা। অর্থাৎ, সেই পাল্টাপাল্টির রাজনীতি। একই ঘটনা ঘটছে 'নন্দীগ্রাম দিবস' নিয়েও। প্রতি বছর আন্দোলনে মৃতদের স্মরণে ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে তৃণমূল। কিন্তু মমতা গত কয়েক বছর ওইদিন নন্দীগ্রাম যাননি। এবার যাবেন। সেখানে প্রচুর লোক আনতে চাইছে তৃণমূল। যাতে অমিত শাহর জনসভার চেয়েও বড় সভা করা যায়। আর ৭ জানুয়ারি মমতা সভা করে চলে যাওয়ার পরের দিন নন্দী গ্রামে হবে বিজেপির সভা। সেখানে প্রধান বক্তা সদ্য তৃণমূল ছাড়া শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টাপাল্টির রাজনীতির মধ্যে জড়িয়ে যাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের ভাষণে এখন হামেশাই উঠে আসছে রবীন্দ্রনাথের কথা। তার কবিতা বা গানের লাইন। বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মোদি বলেছিলেন, 'রবীন্দ্রনাথের বড়দা সত্যেন্দ্রনাথ' গুজরাটে ছিলেন। তারপরই তৃণমূলের পাল্টা, রবীন্দ্রনাথের 'মেজদা'কে কী করে সারাক্ষণ 'বড়দা' (বড় ভাই) বলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী? পাল্টাপাল্টির রাজনীতি এখন এমন পর্যায়ে যে, এ রকমও রব উঠছে, মোদি চাওয়ালা তো মমতা দুধওয়ালা। কারণ, কলেজে পড়ার সময় মমতাও হরিণঘাটায় দুধ বিক্রি করেছেন।