রাহুলকে একহাত

কেউ কেউ আমাকে গণতন্ত্র শেখাচ্ছেন :মোদি

এমন অনেক রাজনৈতিক শক্তি আছে, যারা গণতন্ত্র নিয়ে বড় বড় কথা বলে, অথচ তারাই এটা নিয়ে দ্বিচারিতা করছে

প্রকাশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়ে বলেছেন, 'দিলিস্নতে এমন অনেকে আছেন, যারা আমাকে সব সময় অপমান করছেন। কটাক্ষ করছেন। আমাকে গণতন্ত্র শেখানোর চেষ্টা করছেন। গণতন্ত্র কাকে বলে জম্মু-কাশ্মীরের জেলা উন্নয়ন পরিষদের ভোটই তার উদাহরণ।' শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের জন্য 'আয়ুষ্মান প্রকল্পের' সূচনার পর নাম না করেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে এভাবে বিঁধেছেন। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, এনডিটিভি, ইনডিয়ান এক্সপ্রেস মোদির কটাক্ষ, এমন অনেক রাজনৈতিক শক্তি আছে, যারা গণতন্ত্র নিয়ে বড় বড় কথা বলে, অথচ তারাই এই গণতন্ত্র নিয়ে দ্বিচারিতা করছেন। এ ক্ষেত্রে পুদুচেরির প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। মোদি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও পুদুচেরিতে এখনো স্থানীয় প্রশাসনের ভোট হয়নি। অথচ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার এক বছরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত পর্যায়ের ভোট হয়েছে।' সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে 'ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল'র (ডিডিসি) ভোট হয়েছে। জম্মুতে বিজেপি ভালো ফল করলেও কাশ্মীরে কিন্তু সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি তারা। বিজেপি ছয়টি জেলায় জিতেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কাশ্মীরে বিজেপির পদ্ম ফুটেছে। সেখানে কংগ্রেসসহ ফারুক আবদুলস্নাহর 'গুপকার' জোট ১৩টি জেলায় জিতেছে। মোদি বলেন, 'গণতন্ত্রকে মজবুত করেছে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ। যেভাবে যুব থেকে প্রবীণ সম্প্রদায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটদানে অংশ নিয়েছে, তাতে আমি অভিভূত।' গণতন্ত্র নিয়ে নতুন এই বিতর্কের সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। কৃষি আইনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপতির কাছে দুই কোটি মানুষের স্বাক্ষর সংবলিত একটি স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। দিলিস্নর বিজয়চক থেকে কংগ্রেসের সব এমপি এবং কয়েকজন শীর্ষ নেতা মিছিল করে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দিলিস্ন পুলিশ তাদের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। কংগ্রেস প্রতিনিধিরা পুলিশের বারণ না শুনলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস এমপিকে আটক করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন রাহুল গান্ধী। বলেন, 'দেশে গণতন্ত্র নেই। যারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তারাই সন্ত্রাসবাদীর তকমা পাবেন। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও যদি মোদির বিরোধিতা করেন, তবে তাকেও জঙ্গি বলা হবে।'